এখনও আসেনি বিদ্যুৎ, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
প্রদীপ কুমার মাইতি:ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর প্রায় এক মাস হতে চলল। তাও এখনো বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পরিষেবা পৌছায়নি জেলার একাধিক প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে। তাই এবার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শীতলপুরের টুলিয়াপাট গ্রামের প্রায় কয়েকশো বাসিন্দা রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে বাঁশ ফেলে অবরোধ ও বিক্ষোভ শামিল হন। এর জেরে বেশকিছুক্ষণ দিঘা- নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের দ্রুত সংস্থাসমূহের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবের পর প্রায় এক মাস হতে চলল। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে জেলার একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে গিয়েছে। এছাড়াও পানীয় জল পরিষেবা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে ইতিমধ্যে জেলার অধিকাংশ জায়গায় পানীয় জল পরিষেবা ও বিদ্যুতের পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল এলাকায় পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পরিষেবা। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রায় এক মাস হতে চললেও অন্ধকারে ডুবে রয়েছে গ্রামগুলি। বেশ কয়েকবার প্রশাসনের কাছে আবেদন-নিবেদন জানানো হলেও প্রশাসনের কোন রকম হেল দোল নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। আর এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে দিঘা- নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের বনভ্যাড়া স্টপেজের রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে, বাঁশ ফেলে অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় টুলিয়াপাট গ্রামের গ্রামবাসীরা। অফিস টাইমে অবরোধ হওয়ার ফলে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। অবরোধের খবর স্থানীয় থানায় গিয়ে পৌঁছলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ কারীদের দ্রুত সমস্যা সুরাহার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। এক স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, “আমরা প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছি কিন্তু তাও আমাদের গ্রামে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছয়নি। তাই আমরা আজ অবরোধের শামিল হলাম।” সব মিলিয়ে বলা চলে ঘূর্ণিঝড় এক মাস হতে চললেও এখনো পর্যন্ত অন্ধকারে ডুবে রয়েছে বেশকিছু গ্রাম। কবে জ্বলবে আলো এবং পৌঁছাবে জল সেই উত্তর এখন নেই গ্রামবাসীদের কাছেও।