রাজ্য

প্রচার বিমুখ বর্ধমানের সৌরভ মাঝি সাংবাদিকতায় বিভোর

লিখছেন— প্রাপ্তন রাষ্ট্রপতি , উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী,বাংলার রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী , ঢাকা সহ বাংলাদেশ , আমেরিকার আশির্বাদ ধন্য বহুমুখী প্রতিভা, বাউল লোক শিল্পী ও ইন্ডিয়ান জার্নালিষ্ট এন্ড অল এডিটর্স এসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক এবং NEWS SARADIN এর লাইফ টাইম সাংবাদিক স্বপন দত্ত ।

এই পৃথিবীতে সকলেই নিজের প্রচার নাম খ্যাতি চায় সেটা দেশের রাজা থেকে প্রজা সকলেই নিজের প্রচারের জন্য ছুটে বেড়ায় । স্বর্গের দেব দেবীরাও মর্তলোকে তাদের মহিমা প্রচার হয়ে তবেই তারা দেব দেবী বলে পূজো পেয়েছেন ।যেমন মা মনসা পদ্মাবতী জগৎজননী মাকে মর্তলোকে নিজের মহিমা প্রচার করতে কত কষ্ট পেতে হয়েছে তবেই তিনি স্বর্গে দেবীর আসন পেয়েছেন।। কিন্তূ মর্ত লোকে এমন অনেক মানুষই আছেন যারা নিজের প্রচার সবসময় চান না প্রচার থেকে দূরে নিজেকে সরিয়ে রাখেন অর্থাৎ প্রচার বিমুখ মানুষ । এমনই এক জন সাংবাদিক যিনি পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ লাইন এলাকার মানুষ । মাঝারি বয়স সাধা মাঠা পোশাকে অতি সাধারণ মানুষ তিনি সকলের পরিচিত সৌরভ মাঝি । বহুদিন ধরেই দৈনিক প্রতিদিন খবরের কাগজে লিখে চলেছেন নিত্যদিন কত খবর । তার লেখনী কলমের ধার মাঝে মাঝে প্রতিদিন পত্রিকায় ফাস্ট পেজে তার খবর বেড়োয় যা সারা বাংলা দেখে । সবসময় মুখে হাঁসি লেগেই আছে বিরক্ত ভাব খুবই কম তবে অন্যায় দেখলে সৌরভ মাঝি থেমে থাকেন না। প্রতিবাদ করে সামনা সামনি । একবার আমাকে মানে আপনাদের স্বপন দত্ত বাউলের নামে কিছু ব্যাক্তি সৌরভ মাঝির সামনেই বলে ওঠে স্বপন বাউল মিথ্যা বলে , বিনাপারিশ্রমিকে কিছুই করে না । সঙ্গে সঙ্গে সৌরভ মাঝি প্রতিবাদ করে বলে রাজ্য সরকার একহাজার টাকা ভাতা সকলকেই দেয় । সরকার অনুষ্ঠানে ডাকলে তবেই একহাজার টাকা পায় তাছাড়া প্রতিদিন সব জেলায় নিঃস্বার্থ বিনাপারিশ্রমিকে ঘুড়ে ঘুড়ে সমাজ সচেতন করে বেড়ায় স্বপন দত্ত বাউল কে পয়সা দেয় সংবাদ মাধ্যম সরাসরি বলে ওনার কত দিন সচেতন করতে গিয়ে দুমুঠো ভাত জোটে না । তা ছাড়া জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক কুশল বাবু তিনি তাকে মানপত্র দিয়ে লিখে দিয়েছেন যে স্বপন দত্ত বাউল নিজের ইচ্ছায় বিনাপারিশ্রমিকে সমাজ সচেতন করেন আমি সেই মানপত্র দেখেছি ।। সকলেই চুপ একজন সাধারণ বাউলকে নিয়ে মিথ্যা সমালোচনা দেখে তার মানবিক মন অন্তর থেকে গর্জে উঠেছিলো কারণ কি জানেন সৌরভ একজন সৎ সাহসী প্রতিবাদী সাংবাদিক ।। তাই সকলের কাছেই প্রিয় । প্রতিদিনে লেখার আগে অনেক নামি দামি পত্রিকাতেই লিখেছেন সৌরভ । তিনি বলেন সত্যিকারের সাংবাদিক হতে গেলে নিজেকে সৎ ও সাহসী হতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই সমাজ সচেতনের একজন কর্মী । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবসময় পথে পথে ঘুড়ে আমরা খবর সংগ্রহ করে মানুষের সেবার জন্য কাজে লাগাই ।। নিজের বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু পারিশ্রমিক পাই আমি তাতেই খুশি । কোনো ফেক নিউজ আমি পছন্দ করি না ।। যত দিন সাংবাদিকতা লাইনে থাকব আমি যেন সৎ ভাবে সাংবাদিকতা করতে পারি এই টুকুই ঈশ্বরের কাছে আমার কামনা।। প্রতিবছর ও সময় পেলেই স্ত্রী ও শিশুসন্তান কে নিয়ে সৌরভ বেড়িয়ে পড়েন প্রকৃতিকে দুচোখ ভরে দেখতে নানাজায়গায় । এ প্রসঙ্গে সৌরভ বাবু বলেন প্রকৃতির রূপ আমাকে টানে আমার মন ভালো লাগে লেখা লিখতে উৎসাহ পাই । মাঝে মাঝে কথায় ও ছন্দে কবিতা লেখেন। সৌরভ বাবু আরো বলেন আমার গর্ভ ধারিনি মা ও বাবার আশির্বাদেই আমার শিক্ষা দীক্ষা আমার জীবনের লেখা লেখি নিয়ে পথ চলা ।। ব্যাক্তিগত ও সাংবাদিকতার জীবনে তার মধুর ব্যাবহার সকলকে আপন করে নেওয়া দেখে বর্ধমানের সাংবাদিক ও অন্য জেলার সাংবাদিক রা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ । একজন মানুষ সবার কাছে ভালো হতে কখনোই পারে না কিন্তূ সৎ ও ভালো মানুষের দাম সত্যিকারের যারা মানুষ তারা সবসময় দেবেই । নিজের প্রচার চান না বলে আমি তাকে নিয়ে লেখার সময় কত বার তার ছবি চেয়েছি তিনি প্রচার বিমুখ বলেই তার ছবি দেওয়ার কথা ভাবেন নি। এমন প্রচার বিমুখ একজন সাংবাদিকের কথা আমি জগৎ মাঝারে আমার লেখনীতে তুলে ধরতে পেরে নিজেকেও ধন্য মনে করছি। আমাদের নিউজ সারাদিনের পক্ষ থেকে প্রচার বিমুখ সৌরভ মাঝি যিনি সাংবাদিকতায় বিভোর তার জীবনে উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করি ঈশ্বরের কাছে তিনি যেন সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকেন ও তার সাংবাদিকতায় মানুষের অন্তরে আসন অলংকৃত করতে পারেন।।

Related Articles

Back to top button