রাজ্য

স্টুডিও পাড়ায় জট খোলেনি, জট পাকিয়েছে দাবী বিরোধীদের

বাংলার বুকে রাজনৈতিক প্রভাব ফেলেনা, এমন কোনো স্থান নেই ,তেমনি অভিযোগ বিরোধীদের।স্কুল-কলেজ গির্জা, মন্দির,, মসজিদ এমনকি বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ ও সংবাদমাধ্যমের উপরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। বাংলার বুকে এই নোংরা রাজনীতির হাত থেকে রেহাই পায়নি কেউ!যেসব ব্যক্তি শাসকদলের কথা শুনে চলে না, তাদের উপরে অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার ,জুলুম চলছে বাংলা জুড়ে তেমনি অভিযোগ বিরোধীদের। ক্ষমতার জোরে সব কিছু করে নিতে চাই, এক চোখে বিচার রাজ্য রাজনীতিতেই।বিরোধীদের মুখ খুলতে দেয় না, সরকারের চাপিয়ে দেয়া কে মেনে নিতে পারেনা বিরোধীরা।বাংলার প্রথম বিরোধী দল বিজেপি তাদের অভিযোগ অন্তর থেকে অন্তরমহলে পর্যন্ত।বাংলা চলচ্চিত্র জগতের নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতে উঠেছিল গোটা  টলিউড পাড়াতেই।তবে বিরোধী রাজনৈতিক দল মোকাবিলা করতে মাঠে নেমেছিল টালিগঞ্জ জুড়ে।টালিগঞ্জ পাড়াব কলাকুশলীরা অনেকেই বিরোধী দলের নাম লিখিয়েছে, তাবড় তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রীরাও।তবে শাসক দলের দাবি করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার ফলে লকডাউন এর পরে টালিগঞ্জ পাড়ার নতুন করে শুটিং শুরু হতে চলেছে। অন্যদিকে শুটিং শুরু হওয়া বিষয় নিয়ে জোট কেটেছে বলে শাসকদলের দাবি। সে দাবিকে নিমিষের মধ্যে উড়িয়ে দিলেন বিরোধীরা, বিরোধীদের  বক্তব্য  জট খোলেনি।এ বিষয়ে শাসক দলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।ফোনে কোন ভাবে কোন নেতা-নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার কালচারাল কনফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক সাধন তালুকদার।তিনি জানিয়েছেন টলিপাড়ায় জট খোলেনি ,আরো জট জটিল ভাবে পাকিয়েছে।তিনি এও বলেছেন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার’স এন্ড ডিরেক্টর’ অ্যাসোসিয়েশনের ডাকলো না আমাদের মত সংগঠন কে ডাকলো না । বেঙ্গল  টেলিভিশন টেকনিশিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স  কে ডাকলো না, কিভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিলেন শুটিং করার বিষয় নিয়ে। আদবি কি জট খুলেছে না জট পাকিয়েছে। প্রযোজকদের একাংশ এই মহামারী সময়ে শুটিং করতে নারাজ। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে নিউজ সারাদিন কে।তবেই ইন্ডিয়া মোশন পিকচার কালচারাল কনফেডারেশন পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, স্বাস্থ্য বীমা ও ইন্সুরেন্স কোন টার সাথে যুক্ত করা হয়েছে মহামারী,  জানানো হোক । যদি না যুক্ত করা হয়, তাহলে যুক্ত করা হোক যেকোনো মহামারী কে। কিভাবে স্বাস্থ্য বীমা বা ইন্সুরেন্স পাবে সেটা পরিষ্কার জানাক সরকার পক্ষ থেকেই। স্টুডিও পাড়ায় রাজনৈতিক তরজা এই মুহূর্তে চরমে উঠেছে, বিখ্যাত ও অভিজ্ঞ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বাদ দিয়ে এই শুটিং করা আদৌ সম্ভব এ প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরাই।তবে বাংলার স্টুডিও পাড়া জট খোলেনি আরো বেশি জট পাঠিয়েছে তেমনই ইঙ্গিত বিরোধী মহলে।কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে মুখ খুলেছিলেন পাপিয়া অধিকারী শুটিংয়ের অভিজ্ঞ ও বয়স্ক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কে সমর্থন জানিয়েছিলেন বিরোধীরাই। বিরোধী দলের একাংশের দাবি তারা সরকারের নির্দেশ মেনে নিতে বাধ্য নয়। তারা হচ্ছে সরকারি কর্মচারী নয় অসংগঠিত কর্মচারী ও টেকনিশিয়ান। অসংগঠিত কর্মসংস্থানে সরকার এভাবে নির্দেশ দিতে পারে না বলে দাবি করছে বিরোধীরা। তাদের দাবি সরকারের মধ্যস্থতা করতে পারে কিন্তু এভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

Related Articles

Back to top button