বিনোদন

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও সুরঞ্জন পাল প্রযোজিত না মানুষের গল্প লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’

যার মধ্যে জ্ঞান বিবেক-বুদ্ধি ও মানবিকতা এবং যোগ্যতা সবই রয়েছে তাকে ও তার প্রতিভাকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। সত্যজিৎ রায় ও তার আগে থেকে বাংলার যোগ্যতা পণ্য ব্যক্তির যোগ্যতাকে মাপকাঠিতে কেউ কোনদিন ভাবিনি, এবং তাকে যোগ্য সম্মান দেয়া হয়নি ।তাহার উদাহরণস্বরূপ বর্তমানে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় যোগ্যতার অভিনীত ছবি একাধিক ছবি বিদেশের মাটিতে পা রাখলেন। অথচ সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে দেখলেই বোঝা যায় না যে সে তার প্রতিভার এতটা গভীর থেকে গভীরতর। অতি সরল সাদাসিধে মানুষ, নিজে না খেয়ে অন্যকে খাওয়ান। বরাবরই তিনি পর উপকারী। অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর স্বভাব তার চিরকালই। তিনি বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম অভিনীত শর্ট ফিল্মের অভিনেতা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। তার প্রযোজনায় না মানুষের গল্প, দুটি দেশের বিদেশের ফেস্টিভাল স্থান পেয়েছে। প্রথমে স্থান পেয়েছিল ফ্রান্সে ,দ্বিতীয় বার স্থান পেলেন লেফট অফ গ্লোবাল নেটওয়ার্ক লন্ডনে।না মানুষের গল্প সংসার জীবনের চাওয়া-পাওয়া কেন্দ্র করে এই গল্প অত্যান্ত পারিবারিক। নিজস্ব পরিবারের সামনে রেখে এই গল্প সঙ্গে অনেকের জীবনের মিল রয়েছে।মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সংসার জীবনে তার স্ত্রী একটার পর একটা চাহিদা থাকে আর এই গল্পেই সেই চাহিদা কে কেন্দ্র করে এক অসাধু ব্যবসায়ী কিভাবে সুযোগ সন্ধানী হয়ে মানুষের কষ্টের দিন তাকে নিজে ব্যবহার করে নিল। বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন অতুলবাবুর, অতুলবাবুর চাকরি হারিয়ে ফেলেছে। স্ত্রীর দৈনন্দিন চাহিদা সংসারের অভাব পূরণ করতে পারছে না।তবে অতুলবাবুর আশ্বাস দিয়ে রেখেছিলেন তার স্ত্রীকে যে ভালো সময় এলে সব কিছুতেই করে দেবেন। টিভি, ফ্রিজ, আলমারি এবং সেসব কথা গুলো দিয়ালের গায়ে লিখে রাখতেন। তবে তিনি শর্টকাট একটি পন্থা অবলম্বন করেছিলেন, তবে তিনি ভাবতেন হাতুড়ি চালিয়ে কোদাল চালিয়ে কোনদিনই বড়লোক হওয়া সম্ভব নয়। তবে তাকে বড়লোক হতেই হবে,আর সেই শর্টকাট পন্থা অবলম্বন করে বছরের পর বছর লটারি টিকিট কাটতেন কিন্তু কোনদিন লটারিতে সুযোগ হয়নি। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন অতুল বাবু। আর সেই সময়ে, সেই সুযোগ সন্ধান পেয়ে ,এক সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ী তাকে শর্ত রেখে নিজের চাওয়া পাওয়াকে কাজে লাগিয়েছিল। সেই প্রলভনে শিকার হয়ে পড়েছিলেন অতুল বাবু। তবে শিকার হওয়ার পর শেষ পরিণতি কী হয়েছিল, সেটি গল্পের মূল বিষয়বস্তু । না মানুষের গল্প অভিনীত অতুলবাবুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। অতুলবাবুর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, শুভমিতা চ্যাটার্জি। অন্যান্য অভিনেতার মধ্যে করেছেন, অনিন্দিতা ভট্টাচার্যী, চন্দন চ্যাটার্জী ও অন্যান্যরা। কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ শমীক বসু । পরিচালনায় শমীক বসু। গঠনমূলক পরিচালক সুবীর চক্রবর্তী, কার্যনির্বাহী প্রযোজক সুস্মিতা মুখার্জি ও সন্দীপন মুখার্জি। ফটোগ্রাফার ছিলেন মেহবুব চৌধুরী, যৌথ প্রযোজনায় সঞ্জয় মুখার্জী ও সুরঞ্জন পাল। ছবিটির সম্পূর্ণ সম্পাদনা করেছেন অভিজিৎ পোদ্দার।

Related Articles

Back to top button