কিডনি আক্রান্ত দেবাশীষ জানার বাড়িতে রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
পঁচিশ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি।
প্রদীপ কুমার মাইতি:সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়তেই আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বহু সহৃদয় মানুষজন। বছর তিরিশের দেবাশীষ জানা পিজিতে চিকিৎসাধীন ছেলের দুটো কিডনিই নষ্ট,মৃত্যুমুখি ছেলেকে বাঁচানোর জন্য নিজের কিডনি দান করে ছেলেকে সুস্থ করতে উদ্যোগী জন্মদাত্রী মা।বছর ২৭ এর তরতাজা যুবক দেবাশীষ জানা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নারান্দা গ্রামে নিজের বাড়িতে মা ও স্ত্রীকে নিয়েই সংসার, কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত দেবাশিষ জানা। পরিবার বলতে এই তিনজনই, বাবা গুরুপদ জানা বছরখানেক আগেই মারা গেছেন, বোনেরও বিয়ে দিয়েছে, তারপর নিজেও বিয়ে করে নেয় । কিন্তু বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাধ সাধল মারন রোগ। লকডাউনের আগে কাজের জায়গা থেকে বাড়ি ফিরে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর স্বাভাবিক ভাবে বাজার হাট ঘোরার পর শরীরে অস্বস্তিবোধ করতে থাকে, স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করালে তাঁর জন্ডিস ধরা পড়ে কিন্তু দিন দিন শরীর দুর্বল হতে থাকলে, কলকাতা ফিলিংস হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করলে তাতেই ধরা পড়ে তাঁর দুটো কিডনীই অকেজো, সাথে কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়েছে সে। বাড়ির একমাত্র রোজগারী ছেলের এমন অসুখ জানতে পেরে পরিবার প্রায় বাকরুদ্ধ। ছেলের এমন পরিস্থিতি জেনে মা জ্যোৎস্না জানা মনস্থির করেন নিজের একটা কিডনি দিয়ে ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে চাইছেন। এমন খবর পেয়েই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় দেবাশীষের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। অন্যদিকে দিনরাত অর্থ জোগাড় করে চলেছেন কিছু ক্লাবের সদস্যরা। কিন্তু লকডাউন বাধসাধছে দেবাশিষকে সুস্থ করতে, কিডনি দিতে চেয়েও কিভাবে দেবেন তাঁর কোনো কুলকিনারা পাচ্ছেন না অসহায় মা । দেবাশীষ জানার সুচিকিৎসার জন্য সংবাদমাধ্যমের সহযোগীতায় রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে ছিল তাঁর পরিবার ,সংবাদমাধ্যমে খবর সম্প্রচার হওয়ার পরই কিডনি আক্রান্ত দেবাশীষ জানাকে দেখতে তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।,এবং তাঁর পরিবারের হাতে পঁচিশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। সঙ্গে ছিলেন পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা মানস চক্রবর্তী। পাঁশকুড়া অঞ্চল বিজেপি ব্লক সভাপতি সিন্টু সেনাপতির তত্বাবধানে আর্থিক সহযোগিতা করলেন রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।