দেশের দশের মঙ্গল কামনায়, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর চিরাচরিত হোমের আগুন জ্বলবে আজ পতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত
নদীয়ার রাজা বলতে আমরা বুঝি কৃষ্ণচন্দ্র রাজা। কিন্তূ রাজ পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি হলেন ষষ্ঠতম। এগারোশো শতাব্দীর নদীয়ার রাজা ভট্ট নারায়ন থেকে বর্তমানে সৌরিশ চন্দ্র রায় 39 তম।
পূত্র মনিষ চন্দ্র রায়ের অভিষেক হলে তা হবে 40 তম। রাজমাতা অমৃতা রায়, রাজা, রাজপুত্র কর্মসূত্রে বেশিরভাগ সময় রাজ্য বা দেশের বাইরে থাকলেও।
বারো মাসে তেরো পার্বণে নিয়মিত হাজির থাকেন পুরো পরিবার। এবছর করোনা আবহেও সপরিবারে উপস্থিত হয়েছেন গত দুদিন আগে।
গতরাতে অমাবস্যার পর আজ প্রতিপদ, রাজবাড়ীর সুবিশাল নাট মন্দিরে চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী দেশের দশের মঙ্গল কামনায় আজ থেকে শুরু হলো হোম যজ্ঞ।
এই আগুন জ্বলবে নববীর রাত পর্যন্ত, তারই জন্যে বরিশাল কুইন্টাল বেলকাঠ, কেজি কেজি ঘি মজুদ রয়েছে।
বয়স জনিত কারণে রাজপুরহিত অনুপস্থিত থাকলেও রাজবাড়ীর নিয়মিত পুজো সেবায় দায়িত্বে থাকা পাঁচজন পুরোহিত দায়িত্বে থাকছেন হোম কুন্ডের অগ্নি প্রজ্বলিত থাকার জন্য।
দশমীর দিন মা দুর্গার বিসর্জন দিয়ে এসে বেলতলায় শত্রু বধ করার রীতি আছে রাজ পরিবারে। রাজকুমার জানান ইতিহাস অনুযায়ী রাজরাজেশ্বরী হিসাবে এই রাজবাড়ী অর্থাৎ তাঁর বাপের বাড়িতে তিনি আসেন প্রতি বছরই।
রাজমাতা জানান এবছর দশমীতে শত্রুবধের মনস্কামনায় করনা অন্যতম।রাজামশাই জানান সকলকে স্বাগত! তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের মঙ্গলার্থে ঠাকুরদালানের বাইরে থেকে দেখতে হবে মাকে।