শারদীয় উৎসবের প্রাক্কালে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আকাশছোঁয়া দাম
বাঙালীর অাকাঙ্খিত শারদীয়া উৎসবের প্রাক্কালে অালু-পেঁয়াজ,ডাল- সর্ষেতেল,অানাজপত্র, ডিম, মাছ,মাংস,শাকসব্জী, পেট্রোল ও ডিজেল সহ সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্যে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
গৃহস্হের হেঁসেলে দামের ছ্যাঁকা।অালু ও পেঁয়াজ এখন সবথেকে সুখী দম্পত্তি।অালুর দাম বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে অাছে।এক কেজি করে অালু ও পেঁয়াজ কিনতে গেলে গৃহস্থের পকেট থেকে কড়কড়ে ১০০ টাকা লাগবে।অালু কেজি পিছু ৩৫/৪০ টাকা হলে পেঁয়াজ কেজি পিছু ৫০/৬০ টাকা।চাল,ডাল,সরিষার তেল যেন মানুষ কে গ্রাস করতে উদ্যত।
শাকসব্জী ও অানাজপত্রের দাম গগনচুম্বী। করোনা সংক্রমণ রোধে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মাছ-মাংস ও ডিম খাওয়ার জন্য চিকিৎসক রা বলছেন। কর্মহীন মানুষজন ও মধ্যবিত্তদের মাছ-মাংস কেনা তো দূরের কথা ডিম কেনারও জো নেই। খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ৭ টাকা।
পেট্রোল ও ডিজেলে র অাকাশছোঁয়া দামে পুজোতে ঘোরাঘুরি ও দুঃসাধ্য। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে হাত তুলেই দিয়েছেন। চাষীদের বদলে লাভের গুড় পিঁপড়ে খাওয়ার মতো ফড়ে, অাড়তদার ও সিন্ডিকেট রাই লাভের কড়ি গুনছে।রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সেকে নিয়ে জনগন বলছে তোমার দেখা নাইরে,তোমার দেখা নাই।রাজ্য সরকার এখন পূজা উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত,দাম নিয়ন্ত্রণের ফুরসতই নেই। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষের কর্মসংস্থান, পরিষেবা প্রদান, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি রোধ এ সব নিয়ে রাজ্য সরকারের কোন হেলদোল নেই।
সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে অবিলম্বে অালু,পেঁয়াজ, ডিম সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসমূহের অগ্নিমূল্য রোধের দাবী জানিয়েছেন। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন মানুষের দৈনন্দিন জীবন নির্বাহ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ না করলে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাই দুষ্কর হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন।