জাতীয়

বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা না খুন নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে আত্মীয়রা

মৃত্যুঞ্জয় সরদার:একদিন সবাইকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।এ কথাটি লিখতে বসে গীতার বাণী মৃত্যু নিয়ে, কিছু কথা না লিখলে লেখাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। অনবরত পরিবর্তনশীল নশ্বর সংসারে সকলই অনিশ্চিত, কেবল মৃত্যুই নিশ্চিত। ছায়া যেমন বস্তুর অনুগামী, মৃত্যুও তেমনি দেহীর সঙ্গী।
গীতায় ভগবানের উক্তি-
” জাতস্য হি ধ্রুবো মৃত্যুর্ধ্রুবং জন্ম মৃতস্য চ ।
তস্মাদপরিহার্যেহর্থে ন ত্বং শোচিতুমর্হসি ” ২য় অধ্যায়: শ্লোক- ২৭ জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যুর হাত হতে পরিত্রাণ লাভের উপায় নাই। মৃত্যু কাহাকেও উপেক্ষা করে না। অগণ্য গণ্য পরিবেষ্টিত লোক সংহারকারী বিবিধ অস্ত্র-শস্ত্র সমন্বিত সম্রাট হতে বৃক্ষতলবাশী ছিন্নকন্তা-সম্বল ভিখারী পর্যন্ত সকলকেই একদিন মৃত্যুমুখে পতিত হতে হবে।কর্ম্মক্ষেত্রে সংসারের কোন কার্য্যের বা কোন বিষয়ের স্থিরতা ও নিশ্চয়তা নাই; কিন্তু মৃত্যু নিশ্চয়ই হবে। মৃত্যুর মত অবশ্যম্ভাবী নিশ্চয়তা আর কিছুতেই নাই। প্রাতঃ কালে সূর্য্যদয় হলে সূর্য্যাস্ত যেমন অবশ্যম্ভাবী; দিবা অবসানে রাত্রি যেমন নিত্য সংঘটিত হতেছে, তেমনি জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যু হবেই। শারীরিক বলবীর্য, ধন-জন, সম্পদ, মান, গৌরব, প্রতাপ ও প্রভূত্ব প্রভৃতি সর্ব গর্ব মৃত্যুর নিকট খর্ব্ব হবে। শাস্ত্রে পাওয়া যায় যে, সত্যযুগ হতে কলিযুগ পর্যন্ত ৭ জন মৃত্যুকে উপেক্ষা করে অমর হয়েছেন। যথা- “অশ্বত্থামা, বলির্ব্যাস, হনুমানঞ্চ, বিভীষণ, কৃপে পরশুরাম সপ্তাতে চিরজীবিন;”। অর্থাৎ অশ্বত্থামা, পাতালব্ধ বলিরাজ, ব্যাসদেব, হনুমান, বিভীষণ, কৃপাচার্য্য- এই ৭ জন চিরজীবি বলে শাস্ত্রে উক্ত আছে এবং জন্মতিথি পূজার সময় এই ৭ নামের উল্লেখ করা হয়।এই ৭ জন ব্যাতীত এই মর জগতে অমর কেহই নাই। অবশ্য যোগ সাধন ও অন্যান্য ক্রিয়ানুষ্ঠান দ্বারা দীর্ঘজীবন লাভ করা যায় সত্য; কিন্তু জন্মগ্রহণ করলে আজ হোক কিংবা দশ বৎসর পরেই হোক সকলেরই সেই শমন ভবনে যেতে হবে। মৃত্যু অনিবার্য্য এবং সকলেই যেমন মৃত্যুর অধীন, তেমনি মত্যুর অবধারিত কাল নেই। মায়া মমতাহীন নির্দ্দয় মৃত্যুর সময় অসময় নাই, কালাকাল বিচার নাই। মৃত্যু কাহারও সুবিধা-অসুবিধা দেখে না, কারো উপরোধ অনুরোধ শুনে না, কারো ভালো-মন্দ চিন্তা করে না, কারো দুঃখ-কষ্ট বুঝে না। মৃত্যু কারো নিকট পূজা অর্চ্চনা চাহে না- কারো তোষামোদ কি কোন প্রকার প্রলোভনে ভুলে না, কারো রূপ-গুণ, ধন মান গৌরবের প্রতি দৃকপাত করে না। আর সে কারণেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।কিন্তু এভাবে অকালে চলে যাবেন এটা কেউ মেনে নিতে পারছে না, আত্মহত্যা না খুন নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মীয়-স্বজনরা খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিহার থেকে।সুশান্ত সংগীত মৃত্যুর রহস্য দানা বেঁধে রয়েছে আসল কি ঘটনা ঘটেছিল পুলিশ তদন্ত তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।আত্মহত্যা নয় খুন হতে পারে দেখার অপেক্ষায় দেশবাসী। কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না।বলিউডে আবারও এক নক্ষত্রের পতন, যেখানে বলিউডে আবারও এক নক্ষত্রের পতন, যেখানে গোটা দেশ এখন মরণ ভাইরাস COVID-19 এর সাথে লড়াই করতে উঠে পড়ে লেগেছে, সেখানে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ফ্যানদের জন্য নেমে এলো দুঃখের খবর। সম্প্রতি কিছুদিন আগে বলিউডের দুই নক্ষত্র ইরফান খান ও ঋষি কাপুর চলে যান না ফেরার দেশে আর সেই যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই আবারও এক দুঃখের খবর নেমে এলো বলিউডে। আজ মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল অভিনেতা সুশান্ত সিং এর ঝুলন্ত দেহ।তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বাড়ির পরিচারক থানায় ফোন করে খবর দেন। তার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেখানে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা উঠে আসছে। শোনা যাচ্ছে, বেশ কিছু ছবি মুখ থুবড়ে পড়ায় অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। মুম্বই পুলিশের মুখপাত্র তথা ডিসিপি প্রণয় অশোক বলেন, সুশান্ত সিং রাজপুত ‘ আত্মহত্যা করেছেন। কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। মুম্বই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।’অন্যদিকে বলিউডের পরিচালক মুকেশ আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সত্য কি ঘটনা ঘটেছে, তবে বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক-প্রযোজক মুকেশ ভাট রবিবার একটি জনপ্রিয় সর্বভারতীয় চ্যানেলে বক্তব্য রাখার সময় দাবি করেছেন, সুশান্তের সঙ্গে এমন কিছু ঘটতে চলেছে তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন আগেই। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে সুশান্তের এমন কিছু কথোপকথন হয়েছিল যা থেকে তিনি এমন কিছু একটা হতে পারে বলে আঁচ করতে পেরেছিলেন। মুকেশ শেয়ার করেছেন, কী ভাবে ‘আশিকি ২’ ছবির জন্য অডিশন দিতেন সুশান্ত। ভাটদের সঙ্গে কাজ করার জন্য সুশান্ত অসম্ভব উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু তার জায়গায় আদিত্য রায় কাপুরকে সেখানে কাস্ট করা হয়েছিল। পরে ‘সড়ক ২’ ছবির জন্যও সুশান্তকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে ফের তাঁকে বদলে দেওয়া হয়। মুকেশ দাবি করেছেন, সুশান্ত একেবারেই ভালো ছিলেন না। সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিচারিকার কাছ থেকে জানা যায়,
তিন মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সুশান্ত মৃত্যুর আগে তিন মাস ধরে বান্দ্রার বাড়িতে একা ছিলেন। গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন নিজেকে। কিন্তু কেন, এই প্রশ্নের উত্তর বোধহয় নিজের সাথেই নিয়ে চলে গিয়েছেন তিনি। গত বছরই নিজের ইনস্টাগ্রামের পোস্টে নিজের ৫০টা অপূর্ণ স্বপ্নের কথা লিখেছিলেন এই অভিনেতা। তালিকার ছবি তুলে পোস্ট করেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে কিছুদিন আগেই নিজের অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেন তিনি।তবে তিনি প্লেন চালানো শিখতে চেয়েছিলেন, কম্পিউটার কোডিং শেখার ইচ্ছা ছিল, ছয় মাসে সিক্স প্যাক অ্যাবস বানানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন ওই তালিকায়। কিন্তু কিছুই হয়ে উঠল না। শোনা যাচ্ছে, এদিন তাঁর মৃত্যুর পর তাঁ বান্দ্রার বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে কিছু ওষুধ আর প্রেসক্রিশপন। যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি, ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন। আর তার থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হয় বলে মনে করা হয়। যদিও কোনও সুইসাইড নোট এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলেই খবর।অন্যদিকে পরিবার সূত্রে দাবি সুশান্ত সিং আত্মহত্যা করতে পারে না ।তাকে খুন করা হয়েছে।এই খবর শোনার পর থেকেই একদিকে যেমন শোকস্তব্ধ তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। তেমনই খবর অভিনেতার বাড়িতে পৌঁছতেই ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। হতবাক বিহারের পটনায় তাঁর পরিবারের লোকজন। শনিবার রাতে যে ছেলে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে তা ধারণাই করতে পারেনি পরিবার। অভিনেতার বাড়ি পাটনার। সকাল থেকে অন্যান্য দিনের মতোই শুরু হয়েছিল।আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলেই তাঁর প্রথম এই দুঃসংবাদ পান। সুশান্ত যে অবসাদে ভুগছিলেন, এমন কোনও খবর তাঁদের কাছে ছিল না। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে সুশান্ত। তাঁর রয়েছে চার দিদি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে মাকে হারিয়েছিলেন সুশান্ত। সেই সময়ে কিছু চুপচাপ থাকত। কিন্তু নিজের অদম্য লড়াই সুশান্তকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল।অন্যদিকে, এই ঘটনা গ্রামের বাড়ি পৌঁছতেই ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবারের লোকজন। মাঝে মধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন সুশান্তের বাবা। ছেলের খবর কানে যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জানা যাচ্ছে, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল নয়। সুশান্তর পরিবারের সদস্য ভব্যা বলেছেন, খবরের চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি। আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। ও ৩-৪ মাস আগে পুজোয় গ্রামে এসেছিল। কী ঘটেছে, তা আমরা জানি না। ওর বাবা মর্মাহত…অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।অন্যদিকে, সুশান্তের তাঁর এক আত্মীয় দাবি করেছেন যে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, অভিনেতার বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তাই আত্মহত্যা কিনা, তা এখনও পরিস্কার নয়।এদিকে সুশান্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘‘বিনোদন জগতে তাঁর উত্থান অনেককে প্রেরণা যুগিয়েছিল।’’ বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৈয়দ শাহনওয়াজ হুসেন লিখেছেন, ‘‘সত্যিই মর্মান্তিক খবর। তরুণ বয়সেই অভিনেতা হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন।’’ বাবুল সুপ্রিয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মর্মান্তিক, রহস্যজনক, হৃদয়বিদারক। জীবনের কেন এমন পরিণতি ডেকে আনল, তা নিয়ে গভীর পর্যালোচনার প্রয়োজন।’’অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুতে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েট টুইট, ‘সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মতো একজন প্রতিভারধরের মৃত্যুর দুর্ভাগ্যজনক খবর শুনে আমি স্তম্ভিত। ওঁর পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের আমার সমবেদনা জানাই।শোক প্রকাশ করেছেন টলিউডের বিভিন্ন তারকারাও
সঞ্জয় দত্ত লিখেছেন, “খবরটা শুনে কোনও শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। ওঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই।” একই প্রতিক্রিয়া ফ্যাশন ফটোগ্রাফার ডাব্বু রত্নানিরও। অভিনেতা এবং সাংসদ দেবের প্রতিক্রিয়া, “শেষের ছবিতে (ছিছোড়ে) উনি আত্মহত্যা না করার এবং লড়াই থেকে পিছু না-হটার বার্তা দিয়েছিলেন। আর তারপর এই! রিল এবং রিয়েল লাইফ… পরিহাস… অনেক আগে চলে গেলে… শান্তিতে থেকো।”বলিউডের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নামটি তিনি লিখে গেলেন, তার জীবনী কথা না লিখলে হয়তো এই লেখা টি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাই আমার কলমে সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবনী লিখে সম্পূর্ণ করলাম লেখাটি।দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে তখন পড়াশোনা করছে ছেলেটা। সুদর্শন, নাচের প্রতি অসীম প্যাশন। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সেভেন্থ র‌্যাংক করা ছেলেটাকে বন্ধুরাও বলল, ‘একবার তো ট্রাই করে দেখ…’। নাচের স্কুলে ভরতি হলেন প্রেমিক চোখের সেই সদ্য যুবা। একটা নাচের ক্লাস থেকে বলিউডের শীর্ষ সারির অভিনেতা- সুশান্ত সিং রাজপুতের পথ পেরোনোর গল্প নিয়েই তৈরি হতে পারত সিনেমা। এখনও হয়ত হবে, কিন্তু সিনেমার শেষ দৃশ্যে দেখানো হবে ডিপ্রেশনকে বশ মানাতে না পেরে মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই নিজের জীবনটা শেষ করে দিলেন জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা এই অভিনেতা।সুশান্ত সিং রাজপুত ১৯৮৬ সালের ২১ শে জানুয়ারি বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পাটনার সেন্ট কারেন হাই স্কুল এবং তারপরে নয়াদিল্লির কুলাচী হানরাজরাজ মডেল স্কুল থেকে তাঁর স্কুল পড়াশোনা করেছিলেন। সুশান্ত সিং রাজপুত পড়াশুনায় ভাল ছিলেন এবং তাঁর পুরো জীবনে ১১ টি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা সাফ করেছিলেন।

BirthJanuary 21, 1986 (Purnea, Bihar)DeathJune 14, 2020 (Suicide) (Mumbai, Maharashtra)Age34 yearsOccupationActor, Dancer, Entrepreneur and PhilanthropistGirlfriendAnkita Lokhande (broke up in 2016)NicknameGudduLast MovieChhichhore (2019)NationalityIndianYears Active in Film Industry2008-2020

২০০৩ সালে, তিনি দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষায় সপ্তম র‌্যাঙ্ক লাভ করেন এবং বি.ইতে ভর্তি হন। যন্ত্র প্রকৌশল. সুশান্ত পদার্থবিদ্যায় জাতীয় অলিম্পিয়াড বিজয়ীও ছিলেন। দিল্লি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কলেজটিতে তিনি সক্রিয়ভাবে থিয়েটারে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি তার অভিনয় ক্যারিয়ারের জন্য কলেজ থেকে সরে এসেছেন।সুশান্ত সিং রাজপুত মুম্বাইয়ের তার অ্যাপার্টমেন্টে নিজেকে ফাঁসানোর পরে 2020 সালের 14 জুন আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০১৫ সালে, সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখান্ডে প্রকাশ্যে তাকে চড় মেরেছিলেন যখন তিনি পুরোপুরি মাতাল ছিলেন এবং একটি পার্টিতে অন্য মেয়েদের সাথে নাচছিলেন। ২০১ The সালে এই জুটি ভেঙে যায়। সুশান্ত গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে ২০১৫ সালে অঙ্কিতার সাথে গোপনে বিয়ে করেছিলেন।
২০০২ সালে, তিনি তার মাকে হারিয়েছিলেন এবং তাঁর পুরো পরিবার পাটনা থেকে দিল্লিতে চলে এসেছিল। তার এক বোন মিতু সিং রাজ্য স্তরের ক্রিকেটার।সুশান্ত সিং রাজপুত: অভিনয় ক্যারিয়ার
কলেজের দিনগুলিতে সুশান্ত সিং রাজপুত শিয়মাক দাবারের নৃত্যের ক্লাসে নিজেকে নাম লেখান। নাচের ক্লাসে সহপাঠী শিক্ষার্থীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ব্যারি জনের নাটক ক্লাসে অভিনয় শিখতে যোগদান করেছিলেন।নৃত্যের ক্লাসে, সুশান্ত সত্যই ভাল অভিনয় করেছিল এবং স্ট্যান্ডার্ড ডান্স ট্রুপের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল। ২০০৫ সালে, ৫১ তম ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে, সুশান্ত একটি ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন। ২০০ ৬ সালে, তিনি ২০০৬ এর কমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের অন্যান্য সদস্যদের সাথে পারফর্ম করেছিলেন।রাজপুত মুম্বাইতে চলে আসেন এবং নাদিরা বাব্বরের একজুট নাট্যদল (১৯৮১ সালে হিন্দি থিয়েটারের পরিচিত নাম) তে যোগ দিয়েছিলেন এবং দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এই গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিলেন। নেসলে কাঁচের জন্য একটি টিভি বিজ্ঞাপনের পরে, সুশান্ত সিং রাজপুত একটি পরিচিত মুখ হয়ে উঠলেন।২০০৮ সালে, বালাজি টেলিফিল্মের ingালাই দলটি একজুটের জন্য সুশান্ত সিং রাজপুতের একটি মঞ্চ নাটক দেখে এবং অডিশনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিল। ‘কিস দেশে মেহে মেরা দিল’ ছবিতে তাঁকে প্রীত জুনেজার চরিত্রে অফার দেওয়া হয়েছিল। এই ভূমিকার পরে তিনি প্রতিটি ভারতীয় পরিবারের জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন।২০০৯ সালে তিনি দৈনিক সাবান ‘পবিত্র চিত্র’ তে অভিনয় করেছিলেন এবং মানব দেশমুখের ভূমিকা পালন করেছিলেন।২০১০ সালে, তিনি নৃত্যের রিয়েলিটি শো ‘জারা নাচে দিখা 2’ তে অংশ নিয়ে মস্ত কালান্দার বয়েজ দলের হয়েছিলেন।২০১০ এর শেষদিকে, তিনি ‘ঝালক দেখলা জা 4’ নৃত্যভিত্তিক রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়েছিলেন এবং কোরিওগ্রাফার শম্পা সাঁথালিয়ার সাথে জুটি বেঁধেছিলেন। ২০১১ সালে তিনি বিদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণের কোর্স চালানোর জন্য দুই বছর পর পবিত্র চিত্রনাট্য ছেড়ে দেন।২০১৩ সালে, সুশান্ত সিং রাজপুত ‘ক পো পো চে!’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন! এবং রাজকুমার রাও এবং অমিত সাধের পাশাপাশি ছবিতে অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একই বছর তাকে পরিণীতি চোপড়া ও বনি কাপুরের পাশাপাশি তাঁর দ্বিতীয় বলিউড চলচ্চিত্র ‘শুদ্ধ দেশী রোম্যান্স’ অফার দেওয়া হয়েছিল।২০১৪ সালে, তিনি আমির খান ও আনুশকা শর্মা অভিনীত ‘পিকে’ ছবিতে একটি ছোটখাটো ভূমিকা পালন করেছিলেন। ছবিটি সর্বাধিক উপার্জনকারী ভারতীয় চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি। ২০১৫ সালে, তিনি একটি রহস্য থ্রিলার ‘গোয়েন্দা ব্যোমকেশ বক্সী!’ তে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ২০১৬ সালে, তিনি ‘এম.এস. প্রধান চরিত্রে ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি ‘। ছবিটি সে বছর বলিউডের সর্বাধিক উপার্জনকারী একটি ছবিতে পরিণত হয়েছিল।২০১৭সালে, তিনি ‘রাবতা’ ছবিতে কৃতি সাননের সাথে সহ-অভিনয় করেছিলেন।২০১৮ সালে তাঁকে সারা আলী খানের পাশাপাশি ‘কেদারনাথ’ ছবিতে দেখা গেছে।
২০১৯সালে, তিনি দুটি ছবিতে উপস্থিত হয়েছিলেন – সোনচিরিয়া (ভূমি পেডনেকারের বিপরীতে) এবং ছিছোরে (শ্রদ্ধা কাপুরের বিপরীতে)।২০২০ সালে ১৪ ই জুন মৃত্যু হয়।

Related Articles

Back to top button