রাজ্য

পুরীর রাজা ও মহারানীর কাছে আশির্বাদ ও সম্মান পাওয়া স্বপন দত্ত বাউলের জীবনের অমূল্য সম্পদ

নিজস্ব সংবাদদাতা: —ভারতবর্ষের উড়িষ্যা রাজের পুরী এক দর্শনীয় ও তীর্থস্থান মহাপ্রভু জগন্নাথের মন্দির সারা বিশ্বে মানুষের কাছে পূজিত । জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা সারা বিশ্ব খ্যাত। ২০২০ এই বছরে মহামারী করোনার প্রকোপে অসংখ্য ভক্তবৃন্দ পুরিতে রথযাত্রায় যোগ দিতে না পারলেও জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা সাড়ম্বরে পালিত হলো । রাজতন্ত্র চলে গেছে ভারতে রাজা এখুন আর কোথাও নেই । কিন্তূ পুরীর রাজা মাননীয় গজপতি দিব্য সিংদেব মহারাজের সম্মান আজও একইরকম আছে । পুরীর রাজা প্রতিবছরের মত ২০২০ এ বছরেও জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার আগে সোনার ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দিয়ে মহাপ্রভুর রথ যাত্রার পথ পরিষ্কার করে দিলেন। রাজাকে পুরীর মানুষ সম্মানের শিখরে রেখেছেন এটা তারই একটা প্রমান। এই রাজার কাছে পৌঁছানো বা তার আশির্বাদ পাওয়া এটা সাধারণের কাছে সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না । কিন্তূ এমনই একজন মানুষ আছেন অন্তিরজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বহুমুখী প্রতিভাবান শিল্পী যিনি আপনাদের সকলের প্রিয় বাউল । তিনি পূর্ব বর্ধমানের খাজা আনোয়ার বেড়ের বহুমুখী প্রতিভা স্বপন দত্ত বাউল , তার বহুমুখী প্রতিভার গুনে পশ্চিমবাংলা থেকে সুদূর পুরিতে গিয়ে পুরীর রাজা ও রানিমার আশির্বাদ পান । এটা ভারতের কাছে এক বিশাল গর্বের । এ প্রসঙ্গে স্বপন দত্ত বাউলের বক্তব্য তুলে ধরছি । স্বপন বাউল বলেন আমি তো কখনো রাজাকে দেখি নি।আমার মত এক সামান্য মানুষ আমি যে রাজার কাছে রাজার আশির্বাদ পাবো ভাবতে পারি নি। পুরীর আনন্দময়ী মায়ের আশ্রমে রাখিপুর্ণিমায় ২০১৫ সালে আমি অনুষ্ঠান করতে যাবার আমন্ত্রণ পাই পুরী থেকে । আমি আনন্দময়ী মায়ের জীবনী মায়ের সাধনা ও সিদ্ধিলাভ এবং তার হরিনামে মাতোয়ারা হয়ে ভক্তিপ্রেমে মানুষের মনে ভক্তি শ্রদ্ধা জাগানোর পথ দেখানো বিষয় নিয়ে আমি একটি গানের আলবাম তৈরি করার সুযোগ পাই আনন্দময়ী মায়ের ভক্ত শ্রদ্ধেও শৈবাল হাজরার হাত ধরে। আমি যখনই জানতে পারলাম পুরীর রাজা আমার নিজের লেখা ও সুরে আনন্দময়ী মায়ের গানের ডিভিডি ( DVD ) আলবাম উদ্বোধন করবেন তখনই আমার জীবনের সকল সমাজসেবার কাজকর্মের ডকুমেন্টস আমি রাজার হাতে যত টা পেরেছি তুলে দিয়েছি । পুরীর রাজা মাননীয় গজপতি দিব্য সিংদেব মহারাজ আমার প্রতিভায় মুকদ্ধ আমার গানের ডিভিডি (DVD) আলবাম তাকে উপহার দি । অবাক করার মত আমার ভাগ্য, পুরীর রাজা সঙ্গে সঙ্গে আমার আনন্দময়ী মাকে নিয়ে গানের ভিডিও আলবামের কভারে নিজের মূল্যবান স্বাক্ষর করে আশির্বাদ ও সম্মান জানান। স্বামীজী স্বামীজী বলে আমাকে আহ্বান করেন এবং মঞ্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরীর আশ্রমের মহারাজ ও সম্পাদক সভাপতি এবং অসংখ্য ভক্তবৃন্দের মাঝে আমার গানের আলবাম উদ্বোধন করেন। আমাকে স্বামীজী বলে সবসময় আহ্বান করা শুনে একজন বিশিষ্ঠ ব্যাক্তি বলেন রাজাবাবু উনি স্বামীজী নন উনি একজন বাউল । তার উত্তরে পুরীর রাজা গজপতি দিব্য সিংদেব মহারাজ বলেন আমি স্বপন দত্ত বাউলের সকল কাজের প্রমান নথি মানপত্র দেখেছি ভারতের সকল ধর্মীয় আশ্রম ওনাকে সম্মানীত করে লিখেছেন উনি জীব সেবার নামে শিব সেবা করেন দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমনকি দেশ বিদেশ ও ওনারা বহুমুখী প্রতিভার শিল্পকলার গুনে মুকদ্ধ । কারণ স্বপন বাউল তার বহুমুখী প্রতিভার শিল্পকলা ও বাউলগানে মধ্যে অর্থ উপায় করে অসহায় অনাথ দুখিজনের সেবা করে নানাভাবে এবং সমাজ সচেতনের ও কুসংস্কার কুপ্রথা দূরীকরণে তিনি সবসময় নিঃস্বার্থ পথে পথে ঘোরেন মানুষকে বাঁচান । স্বামীজী বিবেকানন্দর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে একজন সামান্য শিল্পী হয়েও যে ভাবে জীব সেবার নামে শিব সেবা করেন আজকের পৃথিবীতে স্বপন দত্ত বাউল এক বিরণ ঘটনা । নিঃস্বার্থ নির্লোভ ভাবে যারা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে জীবে প্রেম করার জন্য তাদের মুখে অন্ন ভাত তুলে দেওয়ার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন নিঃস্বার্থ বিনাপারিশ্রমিকে, তারা স্বামীজী সম্মান পাওয়ার যোগ্য । ভারতের সকল ধর্মীয় আশ্রম গুলি স্বপন বাউলকে স্বামীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তার কর্ম পথে চলাকে সাধুবাদ দিয়েছেন মানপত্রে তাই উনি একজন আমার মতে সাধক শিল্পী স্বামীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত ।। স্বপন দত্ত বাউল বলেন পুরীর রাজার কাছে এই সম্মান পাওয়া আমার জীবনে এক অমূল্য সম্পদ । আমি সারা জীবন রাজার দেওয়া আশির্বাদ ও সম্মানকে মাথায় তুলে রাখব। এই হতভাগ্য জীবনে সবসময় দুমুঠো ভাত জোটে না তবু আমার মত একজন অতি নগন্য অতি সাধারণ শিল্পী যে সম্মান পুরীর রাজা ও মহারানীর কাছে পেয়েছি তা আমার স্বর্গীয় পিতা কুমুদ রঞ্জন দত্ত ও আমার গর্ভধারিনী বৃদ্ধা মা মিনতি রানী দত্তর আশীর্বাদেই।এছাড়া আমার আরাদ্ধ দেবী তারামায়ের কৃপা আমার মাথার উপর আছে। এবং শ্রী শ্রী মা আনন্দময়ী মায়ের স্বপ্না দেশ পেয়েই তার আশীর্বাদেই জয়মা বলে ডেকে নিজে গানলিখে সুরকরে গাইতে পেরেছি ও শ্রী শ্রী মা আনন্দময়ী মায়ের স্বপ্না দেশ ও আশির্বাদ নাপেলে আমি গানও গাইতে পারতাম না আর পুরীর রাজার কাছে সম্মান পাওয়া ও হতো না ।আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী সবই আমার তারামায়ের লীলা ।

Related Articles

Back to top button