রাজ্য

স্বপন বাউলের সচেতনে বর্ধমান আগেই সতর্ক হলে বর্ধমানে করোনা পজেটিভ হতো না।

নিজস্ব সংবাদদাতা :-বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর খণ্ডঘোষ থানার বাদুলিয়া গ্রামে , বাইরে থেকে গ্রামে আসা ব্যক্তির করোনা পজেটিভ ধরা পড়লো, বর্ধমান জেলাশাসক নিজে সাংবাদিক দের সামনে বলেছেন সকলেই খবরে দেখেছেন । স্বপন বাবু আপনি তো করোনা নিয়ে প্রথম সচেতন করেছিলেন এ প্রসঙ্গে আপনি কি বলবেন ? তার উত্তরে খাজা আনোয়ার বেড় পূর্ব বর্ধমানের রাষ্ট্রপতির আশীর্বাদ ধন্য , আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল বলেন যে প্রথমেই যখন চিনে করোনা নিয়ে ও বিদেশের দেশ গুলোতে করোনায় মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুর খবর পাই।তখনই আমার সারা রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় ডেঙ্গু সচেতনের কথা বারবার মনে পড়ে এবং ডেঙ্গুতে মানুষের মৃত্যুর কথা ভেবেই কষ্ট পাই।তাই সঙ্গে সঙ্গে গান লিখে সুর করে পূর্ব বর্ধমানে আমিই প্রথম নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষকে বাঁচানোর জন্য বাউলগানে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতন করতে নামি জেলাশাসক অফিসের সামনেই ।তার আগে আমাকে অনেকেই বাধা দিয়েছিলো যে স্বপন বাউল এমন গুজব ছড়িয়ে জেলার মধ্যে অশান্তি ডাকবেন না ,বা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করলে আপনি দায়ী থাকবেন , গুজব ছড়িয়ে সস্তায় প্রচার চাইছেন ,এরকম নানান কথা।একদিন মানুষের হুমকি তে থমকে থেমে গিয়ে তারপর দিন যখন সচেতন আরম্ভ করলাম তখন বর্ধমানের বহু মানুষ একটা কথাই বলছিলো যে প্রশাসন থেকে সব জায়গায় ব্যানার ঝুলিয়ে দিছছে তাতে ঠিক তেমন আমরা ভালোকরে বুঝতেই পারছি না। কিন্তূ স্বপন বাউল যেভাবে সচেতন করছেন এতে আমরা বুঝতে পারছি করোনা কি বা করোনা থেকে বাঁচতে কি ভাবে সাবধান হতে হবে ।। আমার এই সচেতন সারাদিন ধরে চলল কার্জনগেট , জেকশাসক অফিসের সামনে , সংস্কৃতি লোক মঞ্চের মোড়ে, , বর্ধমান রেল স্টেশনে ও বর্ধমানের ব্যাস্ততম জায়গায় । যেমন কেরালা প্রথমথেকেই সচেতন হয়েছিলো ঠিক তেমনি আমার বাউলগানে ও বকব্যে এবং আমার সচেতনের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু news দেখেও যদি বর্ধমান সচেতন হতো তা হলে বাইরে থেকে বর্ধমানে গ্রামে যতই লোক আসুক না কেন লক ডাউন প্রিয়ডে চোদ্দ দিন ঘরের মধ্যেই থাকত । তা না থেকে গ্রামে ঢুকে লক ডাউন আইন অমান্য করে যেখানে সেখানে বিন্দাস ঘুড়ে বেড়ানো , সকাল বিকাল জমিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা মেরে জমায়েত করা, গ্রামে সকলকে নিয়ে ভলিবল খেলা , শ্বশুর বাড়ি ,বোনের বাড়ি সহ বিভিন্ন গ্রামে ও বর্ধমানে মোটরবাইক নিয়ে ঘুড়ে বেড়িয়ে বদমাইসি করে ইচ্ছাকৃত করোনা রোগ ছড়ালো । বর্ধমানের মানুষ আজ সকলেই আতঙ্কে ভুগছে। আমার এই মানুষকে বাঁচানোর জন্য করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতন জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে মানুষ যদি গুরুত্ব দিতো ও সচেতন হতো ,তা হলে আজ পূর্ব বর্ধমানে করোনা পজেটিভ দেখতে হতো না। আতঙ্ক ছড়াতো না। ঈশ্বর এই জগৎ সংসার সৃষ্ঠি করেছেন আর মানুষ নিজেরাই বদমাইসি করে সচেতন না হয়ে যদি ধ্বংস করতে চায় সেখানে তো আমি স্বপন দত্ত বাউল বলব আমাদের আজকের এই মহামারীর জন্য আমাদের অসচেতন মানুষই যে দায়ী সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না ।

Related Articles

Back to top button