কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে পাকাধানে মইর অবস্থা।
প্রদীপ কুমার মাইতি:একেই বলে মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘা।লকডাউনে সকলেই গৃহবন্দী। ক্ষেতমজুর ও প্রান্তিক কৃষকদের কর্মহীন অবস্থা। দিন অানি দিন খাই মানুষদের প্রাণান্ত অবস্থা। বেশ কিছু দিন ধরে প্রয়োজনীয় সেচের জল,কীটনাশক ওষুধের অাকাল, দেখভালের অভাব, দমকা বাতাসের প্রভাবে ধানের শীষ সাদারোগে আক্রান্ত হয়ে ফোঁসা(অাগড়া)হয়ে যাচ্ছিল। যেটুকু পাকাধান অবশিষ্ট ছিল তা-ও অাবার গতকালের প্রবল কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে পাকাধানে মইর অবস্থা। বেশীর ভাগ ধানগাছ মাটিতে পড়ে লণ্ডভণ্ড অবস্থায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। গোদের উপরে বিষফোড়ার মত পাকা ফসল মাঠেই নষ্ট। অাধপাকা ও থোড় ধান চরম ক্ষতিগ্রস্ত। দেশপ্রাণ ব্লক, কাঁথি-১,কাঁথি-৩ সহ কাঁথি ও এগরা মহকুমার সব ব্লক এবং সমগ্র জেলায় বোরো চাষের দফারফা অবস্থা। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন জেলা কৃষি অধিকর্তা ও রাজ্য কৃষি উপদেষ্টা কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে শস্যবীমা যোজনায় বারো চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।