রাজ্য

এবার তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে আমফানের টাকা বিলির অভিযোগ নন্দীগ্রামে। প্রতিবাদ করায় মারধর।

নন্দীগ্রামঃ  রাজ্যজুড়ে এতদিন উপযুক্তদের আমফানের ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ভুরি ভুরি।  চলতো ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার কাজকর্ম। কিন্তু এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে।  অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দলের টাকা বিতরণ হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। 
নন্দীগ্রাম যে বিভিন্ন ক্ষোভ-বিক্ষোভের ফুঁশছে তা অনেকদিন আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কোথায় উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ আবার কোথাও কাটমানি নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই নন্দীগ্রামে।  কিন্তু এবার খোদ পার্টি অফিস থেকে আমফানের টাকা বিলির অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামে। অভিযোগ নন্দীগ্রাম- ১ ব্লকের হরিপুর ৫ অঞ্চলের বাহাদুরপুরের একটি তৃণমূল পাটি অফিসে শুক্রবার সকাল থেকে চলে আমফানের টাকা বিলি।  যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় অঞ্চলের উপপ্রধান মেঘনাথ পাল সহ তৃণমূলের আরো অন্যান্য নেতৃত্বরা। অভিযোগ, ওই এলাকার প্রায় ৫৬ জন ব্যক্তিকে আমফানের ক্ষতিপূরণের বাবদ ২০,০০০ টাকা করে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে।  এরপর সেই টাকার মধ্যে ১৫০০০ টাকা নিয়ে নেয় স্থানীয় দলের নেতারা। আর সেই টাকা পার্টি অফিস থেকে স্থানীয় ব্যাক্তিদের বিলি করার অভিযোগ উঠল শুক্রবার। যার জন্য আগের থেকেও প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিলি করা হয়েছিল টাকা দেওয়ার কুপন। আর সেই নিয়ে শুক্রবার সকালে টাকা নি তে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ৪৬ জন ব্যক্তি। এমন সময় গ্রামের স্নেহাশীষ জানা নামে এক ব্যক্তি নিজের ক্ষতিপূরণের টাকা দাবি করে যখন পার্টি অফিসে যান। তখন তার ওপর চড়াও হয় এবং তাকে সহ তার দাদাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তৃণমূলের এইরূপ দাপাদাপিতে সোচ্চার হয়েছে বিরোধী দলেরাও।  যদিও এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা উপপ্রধান মেঘনাথ পাল তিনি অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, “ওদিন আমফানের কোন টাকা দেওয়া হয়নি। দলের তরফ থেকে দলের টাকায় এদিন বিলি করা হয়েছিল।” 

Related Articles

Back to top button