রাজ্য

তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতীকী অবস্থানে বিজেপি নেতা কিশোর কর


ঝুম্পা দেবনাথ

কোভিড-১৯-এর অন্ধকার ছায়ায় গোটা পশ্চিমবঙ্গবাসী বিপন্ন। এই করোনার মতো মহামারির হাত থেকে রাজ‍্যবাসীকে সুরক্ষিত করার আশায় লকডাউনের ও খাদ‍্যব‍্যবস্থার সচ্ছলতার জন্য রেশন ব‍্যবস্থার কর্মসূচি গ্রহণ করেন রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী। কিন্তু বাংলায় করোনা নিয়েও রাজনীতি করেছেন বাংলার শাসকগোষ্ঠী, এমনই অভিমত বিজেপি নেতাবৃন্দের। এই জন‍্য তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘প্রতীকী অবস্থান’ নামাংকিত এক বিক্ষোভের আয়োজন করেন বিজেপি নেতৃবৃন্দ। নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই পোস্টার হাতে তাঁরা এই বিক্ষোভ করেছেন। আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত এই বিক্ষোভ চলে। এই বিক্ষোভের অন‍্যতম ছিলেন উত্তর কলকাতা শহরতলির সভাপতি বিজেপি নেতা কিশোর কর। তাছাড়াও রাজ‍্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহা প্রমুখ বিজেপির নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ বাড়িতে থেকে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কলকাতার সভাপতি বিজেপি নেতা কিশোর কর জানান, শাসক গোষ্ঠী মানুষের জীবন নিয়ে এই দুর্দিনে রাজনীতি করেছেন।রাজ‍্যের তৃণমূল কংগ্রেস জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে লকডাউন ঠিক করে পালন করছে না। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে, চিকিৎসা ব‍্যবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস সহযোগিতা করছেন না। পাশাপাশি অনেক মৃতদেহ লোপাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এছাড়াও বলেন, কোভিড -১৯-এর সঠিক তথ্য জানানো হচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। কেন্দ্র থেকে আগত রেশন দ্রব‍্যাদি সঠিক পরিমাণে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এই সব দুর্নীতি থেকে সাধারণ মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত আশায় বিজেপি দলের কর্মীবৃন্দরা এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন। তিনি আরও জানান, কেনো সাধারণ মানুষ সঠিক খাদ্যদ্রব‍্যাদি পাবেন না? কেনো করোনার মৃত্যু সংখ্যার সঠিক তথ্য দেবে না রাজ‍্য? কেনো বন্ধ করা হবে র‍্যাপিড টেস্ট? ২০০ কোটি টাকা ফান্ড কোথায় গেল? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে‌। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর না পাওয়া গেলে লকডাউন উঠলে বিজেপি রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশে বিক্ষোভের জন্য রাস্তায় নামতে পারেন তাঁরা। এছাড়াও তিনি রেশন বণ্টনের বিভ্রান্তি দেখে সাধারণ মানুষের অসহায়তার কথা ভেবে তাঁর নিজস্ব ওয়ার্ডে কখনো শুকনো খাবার, আবার কখনো রান্না করা খাবার বিলি করেছেন। তিনি পানিহাটির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে খাদ্যদ্রব‍্যাদি বিলি করেন। তিনি আরও জানান, সোদপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রান্না করা খাদ্যদ্রব‍্যাদি তুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের হাতে। এছাড়াও তিনি আরও জানান, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর কর্মীরা এই ত্রাণ পরিষেবার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপা হয়েছেন শাসক গোষ্ঠীর কাছ থেকে এবং কেন্দ্র সরকার থেকে আগত খাদ্যদ্রব‍্যাদি অনেক সময় লোপাট করে দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button