গ্রামের পাতায়

দুই স্কুল পড়ুয়া কিশোরী টিফিন খরচ থেকে জমানো টাকা মানুষ সেবার কাজে!

রানা বৈদ্য, সাঁইথিয়া :দুই স্কুল পড়ুয়া কিশোরী টিফিন খরচ থেকে জমানো টাকা লক্ষ্মীর ভাঁড় বন্দি ছিল বাড়িতে।লক্ষীর ভাঁড় দুটি নিয়ে আজ সাঁইথিয়া পুরসভার পুরপ্রধানের হাতে তুলে দিলেন দেশের প্রয়োজনে দুঃস্থ মানুষদের সেবাই এই অর্থ ব্যবহার করার জন্য। এদিন সাঁইথিয়া পুরসভার ১ নম্বর এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বেসরকারি স্কুলের দুই স্কুলছাত্রী শ্রেয়া দাস (ষষ্ঠ শ্রেণী),অহনা দাস (সপ্তম শ্রেনী) লক্ষ্মী ভাঁড়ে নিজেদের জমানো টাকা নিয়ে সটান ঢুকে যান পুরপ্রধান বিপ্লব দত্তের অফিসে। ওই দুই ছাত্রী নিজেদের সঙ্গে থাকা দুটি লক্ষ্মী ভাঁড় বিপ্লব দত্তের হাতে তুলে দেন।শ্রেয়া দাস এবং অহনা দাস বলেন, আমরা লক্ষী ভাঁড়ে নিজেদের টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে কিছু কিছু করে টাকা জমাচ্ছিলাম।ভালো কাজে লাগানোর জন্যই আমরা এই টাকাগুলো জমাচ্ছিলাম। এখন করোনা ভাইরাসের কারণে যে মহামারী দেখা দিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকে খেতে পারছেন না ছোট ছোট ভাই বোনেরা কান্নাকাটি করছে খেতে না পেয়ে তাই আমরা আমাদের জমানো টাকা আজ চেয়ারম্যান সাহেবের হাতে তুলে দিলাম।এই জমানো টাকা দিয়ে আমরা আমাদের জন্মদিনে কিছু কিনতাম বা বাবা মায়ের জন্মদিনের উপহার কিনতাম। এখন বাবা মায়ের জন্মদিন পালন বা নিজেদের জন্মদিন পালন পড়ার থেকে ওই দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বেশি দরকার।
পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত বলেন এই ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা মেয়েদের উদ্যোগ দেখে আমি সত্যিই অভিভূত আমি ভাবতেই পারিনি যে এই ছোট ছোট ছাত্রীরা নিজেদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে লক্ষী ঘরে যে টাকা জমাচ্ছিল সেই পুরো টাকাটা তারা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিতে এসেছে। এই বাচ্চা বাচ্চা স্কুল ছাত্রীদের উদ্যোগ দেখে বহু মানুষ রাজ্য সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। সাঁইথিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে শ্রেয়া দাস এবং আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের বাবা-মাকে।

Related Articles

Back to top button