নদীয়া শান্তিপুর বিধানসভায় কর্মী সভার বক্তব্যেও উঠেআসলো সমন্বয়ের অভাব
বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে বিষয় ভিত্তিক আলোচনার জন্য নিজেদের ক্ষোভ বিক্ষোভ মান অভিমানের কথা নেতাকে একান্তে বলার সৌভাগ্য খুব কমই হয়! তাই পারস্পারিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি গুলির সমাধান করে নিজেদের মনোবল বৃদ্ধি এবং একাত্মা হওয়ার প্রচেষ্টার নামই বোধহয় কর্মীসভা।
রাজ্যের সর্বত্র এ ধরনের কর্মীসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন্ন বিধানসভার প্রাক্কালে। আজ নদীয়া শান্তিপুর বিধানসভার অন্তর্গত লাইব্রেরী মাঠে এই রকমই এক কর্মীসভার আয়োজন করেছিলেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, সহ সভাপতি দীপক বসু,
জেলা পরিষদ সদস্য নিমাই বিশ্বাস , তৃণমূল নদীয়া জেলার মেন্টর বাণী কুমার রায় ,শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুল সালাম কারিকর ব্লক সভাপতি তপন সরকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীনা প্রামানিক, সহ স্থানীয় এবং জেলা তৃণমূল নেত্রী বৃন্দ।
এই বিধানসভার অন্তর্গত শান্তিপুর শহরের 24 টি ওয়ার্ড এবং ছটি পঞ্চায়েতের মোট 256 টা বুথ থেকেই কর্মীরা এসেছে বলে প্রাক্তন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র দাবি করলেও বেশ খানিকটা অসংগতি ধরা পড়লো ।
জেলা নেতৃত্বের বক্তব্যের মাঝে একাধিকবার উঠে এসেছে এই অসঙ্গতির কথা। উপস্থিত হতে দেখা গেলো না শহরের বেশিরভাগ প্রাক্তন কাউন্সিলরদের, গ্রামের কিছু পঞ্চায়েত সদস্য সহ মহিলা, ছাত্র-যুবর শহরের দায়িত্বে থাকা নেতা-নেত্রীদের।
এ বিষয়ে অবশ্য দলিও তরফে জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে পারস্পারিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে আজ বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভা হলেও কিছুদিনের মধ্যেই নিয়মিত চালু থাকবে প্রতিটা ওয়ার্ড এবং অঞ্চলে ছোটো ছোটো কর্মীসভা।