২০২১ বিধানসভা ভোটে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন দিলীপ ঘোষ,মাইনোরিটি মোর্চা সহ সভাপতি পদে চার্লস নন্দী
কলকাতা ঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ এ আসতে চলছে বিজেপি সরকার , বলছেন— রাজনীতি মহল এর এক অংশ রা৷ কী হতে চলেছে এ প্রশ্ন অন্তরমহল, আগামী বিধান সভা ভোটে সরকার গঠন করবে বিজেপি,সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিজেপির নেতৃত্ব বর্গ দিলীপ ঘোষ।ঠিক ২০২১ বিধানসভার ভোটের আগে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বাংলার বুকে মাইনোরিটি সেল কে ভেঙে মাইনোরিটি মোর্চা নাম দিয়েছে ভারতবর্ষজুড়ে কাজ শুরু করেছে। গত তিন চার দশক আগে এইভাবে মাইনোরিটি হাতে খিষ্টান জনজাতি মানুষের স্থান ছিল না।বাংলার বুকে খিষ্টান জনজাতি মানুষকে সম্মান দিকে মাস্টার্স স্ট্রোক এনেছে বাংলার বুকে চার্লস নন্দীকে। বাংলায় বেশিরভাগই জনসংখ্যা আদিবাসী জনগণের। আর ৩৫ পারসেন্ট তপশিলি জনজাতির , বাকিগুলো সাধারণ কাস্ট ও অংলো ইন্ডিয়ান। বাংলার বিজেপিতে খ্রিস্টানদের জনজাতি কথা মাথায় রেখে দিলীপ ঘোষ মাইনোরিটি মোর্চা সহসভাপতি করলেন চার্লস নন্দীকে।দীর্ঘদিন ইংরেজি সংবাদপত্র প্রথম হাজার ১৯৮৮ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন টেলিগ্রাফে থেকে! আপনি বাংলায় সম্মানীয় ব্যক্তিতো।বিজিপি ক্ষমতায় আসার আগে এভাবে মাস্টার স্ট্রোক হিসেবে কাজ করছে আর একজন ব্যক্তিত্ব।তবেই রাজ্যে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে সিপিএম এবং কংগ্রেস এর ভরাডুবি। এর পর রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে আসে ভারতীয় জনতা পার্টি । রাজ্যে ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রে ১৮ টি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি এর জয় এবং প্রায় বেশির ভাগ হেরে যাওয়া কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস এর সাথে একাই লড়ে গেছেন বিজেপি । এতে রাজ্যের শাসক দলের কপালে যথেষ্টই ভাঁজ ফেলেছেন বিজেপি তা বুঝতে কারোর এ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আর সেই লক্ষ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলা জুড়ে বিজেপির ‘আমার পরিবার-বিজেপি পরিবার’ কর্মসূচি চলছে। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী দল ভাঙছে বিজেপি। শাসকদলের পালটা বাংলার বিভিন্ন জায়গায় দল ভাঙছে বিজেপি। শাসকদল ছাড়াও, কংগ্রেস-সিপিএমেও থাবা বসিয়েছে বিজেপি।
বাঙালির ভাবাবেগ বুঝে চলা দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি মুকুল রায়। তৃণমূলে তাঁকে চাণক্য বলা হত। বিজেপিতে গিয়ে সেই মর্যাদা খুইয়েছিলেন মুকুল। এতদিন পর বিজেপিতেই তাঁকে চাণক্যের মর্যাদা দিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে সংগঠনকে মজবুত করতে মাঠে নেমেছে। ভোট কৌশলি প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে একের পর এক বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে থাবা বসাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।সেই তালিকায় রয়েছে এক বিধায়কও। কার্যত গোষ্ঠী কোন্দলে ল্যাজে গোবরে বিজেপি। আর সেই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাচ্ছে শাসকদল। যদিও গত কয়েকদিন আগেই মুকুল রায়কে পাশে রেখেই বাংলায় বিজেপি সরকার গড়বে বলে ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নয়, মুকুল রায়ের উপরই বাংলা দখলের ভরসা রেখেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। গত শুক্রবার মেয়ো রোডে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ মঞ্চ থেকে বিজয়বর্গীয় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন মুকুল রায়। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেও তাঁকে সরাবেন মুকুল রায়ই ও দিলীপ ঘোষ।”