রাজ্য

‘বিধায়কের পিএ নই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে’, দাবি তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রবীর কয়ালের

কলকাতা: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার তাপসের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন নথি দেখার পাশাপাশি তাপসের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এই নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপসের পাশাপাশি নাম রয়েছে তাপস সাহার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) প্রবীর কয়ালের বিরুদ্ধে। তাসপের বাড়িতে সিবিআই হানার পর প্রবীর মুখোমুখি হয়েছিলেন টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধির। সেখানেই নিয়োগ দু্র্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন প্রবীর কয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। এমনকি তিনি বিধায়কের পিএ নন বলেও দাবি প্রবীরের। তাঁর অভিযোগ তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে তাপস সাহার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়ে বলেছেন প্রবীর কয়াল। তিনি বলেছেন, “আমি এক জন সাধারণ ব্যক্তি। এমএলএ হস্টেলের উল্টোদিকে একটি হোটেলে কাজ করতাম। সেখান থেকেই আমার সঙ্গে তাপস সাহার পরিচয়। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে আমি উনাকে চিনি। আমি উনার পিএ নই। আমি কোনও প্রভাবশালী বা বিভিন্ন দফতরে আমি কোনও দিন যায়নি।” সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআর-এ তাপস সাহার পরেই রয়েছে তাঁর নাম। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি এ বিষয়ে কোনওভাবেই যুক্ত নই। আমি রাজনৈতিক যড়যন্ত্রের শিকার। উনার সঙ্গে থেকে যে আমার এত ক্ষতি হবে ভাবিনি। আমি উনার পিএ নই। কেউ নই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”

 

অর্শদীপের থেকে পার্পল ক্যাপ কেড়ে নিলেন সিরাজ

 

 

রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা তাঁকে ফাঁসাচ্ছে বলে অভিযোগ প্রবীর কয়ালের। এমনকি তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক কখনও ছিল না, এখনও নেই বলে দাবি তাঁর। এ নিয়ে প্রবীর বলেছেন, “তাপসের বাড়িতে আমি কোনও দিন যায়নি। আমি কোনও সরকারি বেতন পেতাম না। তাপস সাহা কলকাতা এলে আমার সঙ্গে দেখা হত। আমাকে কখনও কখনও পেয়ারা, শাখআলু এনে দিতে বলতেন। এই টুকুই। আমি উনার থেকে পাঁচ টাকা বেতন পাইনি।” যদিও সিবিআই ডাকলে তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “দু্র্নীতির ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সিবিআই ডাকলে যাব। আমার পালানোর দরকার নেই। আমি নির্দোষ। আমার নাম জড়িয়ে দিয়েছে।” কোনও প্রভাবশালীকে বাঁচাতে তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ প্রবীরের।

Related Articles

Back to top button