মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেণায় প্রদীপ রহমান বন জঙ্গলে ভরা কবরস্থানের নতুনরূপ দিলেন
সংবদাতা —– রাষ্ট্রপতির প্রশংসিত শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল পূর্ব বর্ধমান :আনুমানিক ১৫০ বছরের পুরাতন কবর স্থান পূর্ব বর্ধমানের গোলাহাটের কাছে, ম্যালেরিয়া অফিসের বিপরীতে গ্লাস ফ্যাক্টরির গলিতে, বনজঙ্গলে অবহেলায় পড়ে ছিলো দীর্ঘদিন ধরে যার নাম মরহুম বিলাত আলি কবর স্থান। এই কবর স্থান বহু বছর ধরে বন জঙ্গলে এমন ভরে গিয়েছিলো যে ওই কবর স্থানের পথ দিয়ে দীর্ঘ গলি পথ ধরে যেতে মানুষের ভয় লাগত ।
সন্ধের পর অন্ধকার নেমে এলে মানুষের ওই পথে যেতে গা ছম ছম করত নানা রকম ভয়ে লাগত, আবার অসামাজিক কাজকর্ম করে যারা তারাই ওই গলিতে অন্ধকারে আড্ডা দিত বলে লোক মুখে এটা এখুন ও শোনা যায়। গোলাহাট ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এর পৌর কমিশনার তরুণ পৌরপিতা মাননীয় প্রদীপ রহমান মহাশয় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কবর স্থান সংস্করণের জন্য অর্থ সাহায্য পেয়ে ঘরে না বসে থেকে মানুষের জন্য কাজে মন দেন। তিনি কমিশনার হয়ে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের সুখ সুবিধা দেখার জন্য একটি সবসময় অফিস খুলে রেখেছেন , সেখানেই মানুষ তাদের নানান সমস্যার কথা বলেন ও প্রদীপ রহমান তার যথাসাধ্য সমাধান করার চেষ্টা করে জন দরদী নেতা বলেও সুনাম অর্জন করেছেন।সেই বিশাল জায়গা জুড়ে কবর স্থানের বনজঙ্গল কেটে পরিস্কার করেন । এবং কবর স্থানটিকে ঢেলে সাজান নবরূপে ।
কবরস্থানে চারিদিকে লাইট লাগিয়ে রাত্রে আলোয় আলোয় আলোকিত করে তুলেছেন, এ যেন এক স্বর্গ উদ্যানের মত। সবুজ ঘাসের গালিচা পাতায় চারদিকে রংবেরঙের ফুলের গাছে ফুলে ভরা ।চারিদিকে বাউন্ডারি বড় পাঁচিল তুলে কবর স্থানটিকে রক্ষা করেছেন ,এবং কংক্রিটের বাঁধানো রাস্তা , ফুলের বাগান , কবরস্থানে জলের কল ও হাত পা ধোবার জন্য ও গোসল করার জন্য জলের পাম্প বসিয়ে অফুরন্ত জলের ব্যাবস্থা করেছেন , মানুষ মারা গেলে যারা কবরের জন্য মাটি দিতে আসেন তাদের জন্য জল ঝড়ে দাঁড়ানোর জন্য ঘর করা ও মানুষের বসার জন্য জায়গা করে রীতিমত একটি মনোরম পার্ক তৈরি করে এলাকার মানুষদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন । তবে এই কবর স্থানে নিয়ম মেনে চলতে হবে এখানে যে কেউ যখন তখন ঢুকে আড্ডা দিতে পারবে না সুন্দর গেট করে চাবি তলার ব্যাবস্থা করে মনরোম বাগান টিকে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য লোক রেখেছেন।শুধুমাত্র মানুষ দেহ রাখলে যারা মাটি দিতে আসবেন তাদের জন্য এই ব্যবস্থা ।
এ বিষয়ে স্থানীয় মানুষজন অনেকেই বলেন কবর স্থান পবিত্র জায়গা, সেই বন জঙ্গলে ভরা কবরস্থানক এত সুন্দর মনোরম স্বর্গ উদ্যান বানিয়েছেন তরুণ কমিশনার প্রদীপ রহমান ভাবলেই অবাক হতে হয় । তার এই অপূর্ব কৃত্তি অক্ষয় ওমর হয়ে থাকবে ভবিষ্যতে । সকলেই তার এই কাজের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন পবিত্র কবর স্থানকে রক্ষা করার এমন সুন্দর মানসিকতা ও সুন্দর মনের চিন্তা ভাবনার পরিচয় দেওয়ার জন্য । এ ব্যাপারে প্রদীপ রহমান বলেন আমি কিছুই করি নি আমি কেউ না , মানুষের আশির্বাদ আমার পাশে আছে মানুষের জন্য কাজ করতে আমার ভালো লাগে এবং আমি শুধুমাত্র চেষ্টা করেছি । সবই আল্লা খোদা মেহেরবান আর ভগবান ই বলুন উনি আমাকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন মানুষের মঙ্গলের জন্য । মানুষের কাজে লাগলে আমি খুব আনন্দ পাবো আর কিছুই না।