রাজ্য

সূর্যিমামার লাগাতার ওভার বাউন্ডারিতে হাঁসফাঁস বঙ্গবাসী, নিস্তার নেই দিঘাতেও

দিঘা: তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। চৈত্র মাস শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। কোথাও কোথাও ৪০ ডিগ্রির থেকেও বেশি। সবথেকে নাজেহাল অবস্থা পশ্চিমের জেলাগুলিতে। রাজ্যের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের (Heat Wave) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও। আর কমলা সতর্কতা পাওয়ার পর থেকে তৎপর জেলা প্রশাসনও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় চলছে মাইকিং। সমুদ্র সৈকত এলাকাতেও লাগাতার মাইকিং করে সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। প্রবল তাপপ্রবাহের জন্য দীঘা (Digha Weather) সমুদ্র সৈকতে সর্তকতামূলক প্রচার করতে দেখা গলে দীঘা উপকূল থানার তরফেও। পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানদারদের মাইকিং করে অনুরোধ করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোন। বাইরের বাইরে বেরোলে টুপি, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই তীব্র গরমে সান স্ট্রোকের আশঙ্কার বিষয়েও সচেতন করা হচ্ছে মানুষজনকে।

এদিকে এই তীব্র গরমের মধ্যে সৈকত শহর দিঘার চিত্র দেখা গেল একেবারে শুনশান। বঙ্গবাসীর অন্যতম পছন্দের পর্যটনকেন্দ্র দিঘা। প্রতিদিনই প্রচুর পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে দিঘায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেখা গেল দিঘার রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। স্কুল-কলেজগুলিতেও পড়ুয়াদের হাজিরা অনেকটা কমেছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে বিক্রি বেড়েছে কোল্ড ড্রিঙ্ক, ডাব ও অন্যান্য ঠান্ডা পানীয়ের। যাঁরা একান্ত প্রয়োজনে রাস্তায় বেরোচ্ছেন, তাঁরাও ছাতা সঙ্গী করেই বেরোচ্ছেন। আর পর্যটকদের সংখ্যাও তুলনায় হাতে গোনা। পর্যটকদের সেই উপচে পড়া ভিড় একেবারেই দেখা গেল এদিন।

 

‘ভারত-বিরোধীদের বিরুদ্ধে চাই কঠোর ব্যবস্থা’, ঋষি সুনাককে ফোন উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর

 

 

যাঁরা দিঘায় ঘুরতে গিয়েছেন, তাঁরাও ফ্যাসাদে পড়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থেকে ঘুরতে যাওয়া এক পর্যটক বলছেন, গতকাল যখন তাঁরা দিঘায় পৌঁছেছিলেন, তখনও এতটা গরম ছিল না। কিন্তু আজ সকাল থেকে গরম মাত্রাতিরিক্ত বেশি। বলছেন, দিনের বেলা এতটাই গরম যে হোটেল থেকে বাইরে বেরোনোর মতো অবস্থা নেই। ভিন রাজ্য থেকেও অনেকে ঘুরতে এসেছেন। কেউ এসেছেন অসম থেকে, কেউ এসেছেন উত্তর প্রদেশ থেকে। গরমে নাজেহাল অবস্থা সকলেরই।

Related Articles

Back to top button