আইডিএসএ এবং শুলিনি ইউনিভার্সিটি সেন্টার অভ এক্সেলেন্স ফর ডিরেক্ট সেলিং–এর উদ্বোধন করল
আইডিএসএ এবং শুলিনি ইউনিভার্সিটি সেন্টার অভ এক্সেলেন্স ফর ডিরেক্ট সেলিং–এর উদ্বোধন করল
সোলান, ১৯ জুন:
ইন্ডিয়ান ডিরেক্ট সেলিং অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএসএ) এবং শুলিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অভিনব উদ্যোগ। একযোগে তারা শুরু করল ‘সেন্টার অভ এক্সেলেন্স ফর ডিরেক্ট সেলিং ইন অ্যাকাডেমিক্স’ (সিইডিএসএ), যা প্রত্যক্ষ বিক্রয়ে বর্ষব্যাপী স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা দেবে ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে। ডিরেক্ট সেলিং বা প্রত্যক্ষ বিক্রয়ে সিইডিএসএ–ই ভারতের প্রথম ‘উৎকর্ষ কেন্দ্র’।
এই কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন হিমাচল প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ সিং ঠাকুর ও হিমাচল প্রদেশের খাদ্য, অসামরিক জোগান ও ক্রেতাবিষয়ক মন্ত্রী রাজিন্দর গর্গ।
এই উপলক্ষে শ্রী ঠাকুর বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে এই ধরনের কর্মসংস্থানমুখী উদ্যোগ নিয়ে আসা খুব জরুরি। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিক্রয়কে যোগ করায় পড়ুয়ারা গবেষণা–ভিত্তিক পাঠ পাবে। সেই সঙ্গে জানবে ব্যবসার খুঁটিনাটিও।’
শ্রী রাজিন্দর গর্গ প্রত্যক্ষ বিক্রয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমার পোর্টালটির উদ্বোধন করে বললেন, ‘আমি আইডিএসএ এবং শুলিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই ধরনের অভিনব, কর্মসংস্থানমুখী পাঠ্যক্রম, যা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানকে জুড়ে দেয় এবং রাজ্যের তথা গোটা দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে লাভদায়ী, চালু করার জন্য অভিনন্দন জানাই।’
শুলিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অতুল খোসলা বলেন, ‘শিল্প ও শিক্ষাকে এক জায়গায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এটা এক চমৎকার উদ্যোগ। এটা কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দেবে।’
আইডিএসএ চেয়ারপার্সন রিনি সান্যাল বলেন, ‘সিইডিএসএ–এর উদ্বোধন দেশে প্রত্যক্ষ বিক্রয়ের বাস্তুতন্ত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে এবং আমরা আশাবাদী যে, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও অতি–প্রয়োজনীয় ডিরেক্ট সেলিং বাণিজ্যিক মডেলকে প্রথাগত শিক্ষায় যুক্ত করায় জোর দেবে। আমরা বিশ্বাস করি, একটি পূর্ণমাত্রার শিক্ষাক্রমের প্রয়োজন রয়েছে এবং সিইডিএসএ ভারতে প্রত্যক্ষ বিক্রয় নিয়ে গবেষণায় আঁতুরঘর হিসাবে কাজ করবে।’
সোলানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবির মতো প্রাঙ্গণে, সিইডিএসএ হল বিশ্বে একমাত্র দ্বিতীয় এই ধরনের ‘উৎকর্ষ কেন্দ্র’, যা প্রত্যক্ষ বিক্রয় ব্যবসায় নিবেদিত। অন্যটি হল আমেরিকাকেন্দ্রিক ডিএসইএফ (ডিরেক্ট সেলিং এডুকেশন ফাউন্ডেশন)। সিইডিএসএ প্রত্যক্ষ বিক্রয়ে দ্বিতীয় বিশ্বজনীন গবেষণা কেন্দ্রও। অন্যটি হল চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সেন্টার অন ডিরেক্ট সেলিং (আরসিডিএস)। সিইডিএসএ–এর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে আইডিএসএ বিশ্বে কেবলমাত্র দ্বিতীয় ডিরেক্ট সেলিং অ্যাসোসিয়েশন, যারা ফ্রান্সের ডিএসএ–র পরে ডিরেক্ট সেলিংয়ে ডিপ্লোমা দেবে।
শুলিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রো–চ্যান্সেলর বিশাল আনন্দ বলেন, ‘প্রত্যক্ষ বিক্রয় যে একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ, শুলিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন উদ্যোগে পড়ুয়ারা তা বুঝতে পারবে। আমরা নিশ্চিত যে, আইডিএস–এর সঙ্গে আমরা এই পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে গতিশীল শিল্পের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারব।’
উপস্থিত শ্রোতাদের সামনে পাঞ্জাবের খাদ্য, অসামরিক জোগান ও ক্রেতাবিষয়ক দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা মিস সিমারজোৎ কাউর বলেন, ‘আইডিএসএ এবং শুলিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আমার হার্দিক অভিনন্দন, এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। প্রত্যক্ষ বিক্রয় কোভিড–কালে প্রচুর প্রেরণা এবং গতি দিয়েছে এবং আমাদের দেশের মানুষকে, বিশেষত মহিলাদের, যেভাবে সহৃদয় সুযোগ দিয়েছে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর।’
শুলিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ই–লার্নিং বিভাগের অধিকর্তা ড. কমল কান্ত বশিষ্ট সিইডিএস–এর প্রত্যক্ষ বিক্রয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমাদের জীবনে শিক্ষাকালে উপার্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সিইডিএসএ–এর মূল লক্ষ্য শিল্পদ্যোগে উৎসাহ দেওয়া এবং এটা নিশ্চিতভাবেই দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে জনপ্রিয় হবে।’
এই অনুষ্ঠানে ক্রেতাবিষয়ক দপ্তরের প্রাক্তন সচিব শ্রী হেমকুমার পান্ডে, ডিএসইএফ–এর কার্যনির্বাহী অধিকর্তা মিঃ গ্যারি হাগিনস, ডব্লুএফডিএসএ–এর কার্যনির্বাহী অধিকর্তা ও সিওও মিস তামুনা গাবিলাইয়া–র মতো বিশিষ্টজনেদের পাশাপাশি আইডিএসএ–এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা, ভাইস চেয়ার মিঃ রজত ব্যানার্জি, কোষাধ্যক্ষ মিঃ বিবেক কাটোচ, সচিব ড. জিতেন্দ্র জাগোটা এবং জেনারেল ম্যানেজার মিঃ চেতন ভরদ্বাজ উপস্থিত ছিলেন।