দূরদৃষ্টি

ইয়াস বিদ্ধস্তদের পাশে দুই কবি-ভাইবোন

করোনায় জেরবার গোটা ভারতবাসী। ২য় ঢেউয়ে রক্ষা পাচ্ছেনা কেউ।আট থেকে আশি কাউকে পরোয়া করছে না এই মারন ভাইরাস। করোনা ভাইরাস নিয়ন্রনে আনছে চলছে লকডাউন। এরফলে অসংখ্য মানুষ কর্মসংস্থানহীন। এরই মাঝে দৈত্য দানবের মতো হাজির ইয়াস ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিম বঙ্গের বিস্তৃত এলাকা জলমগ্ন। ঘড়-বাড়ি সব ভেঙে চুরমার।মাথা গোঁজার ঠাঁই তো দূরের কথা দুমুঠো খাবারের জন্য ভরসা ত্রান। এমন পরিস্থিতিতে এদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন দুই কবি ভাই-বোন।

মানুষ মানুষের পাশে সর্বদাই দাঁড়ায়, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উদাহরণ বহু বছর থেকে রয়েছে এই ধরাধামে। জীবনে চলার পথে কেউ হয়েছে ধনী আর কেউবা হয়েছে গরিব ,আর ধনী-গরিবের মধ্যেও বহু যোজন দূরে রয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরেরা। এই ভবঘুরেদের কথা হয়তো আমাদের মত সাধারন মানুষ তা কোনদিন ভাবি না। তবে ভবঘুরেদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছে গবেষক ও কবি লিটন রাকিব সাথে বোন আরফিনা।

সমাজের বহু অসহায় ও গরীব,নিরাশ্রয়, দুস্থ,রোজগারহীন মানুষদের পাশে তরুণ গবেষককে সর্বদায়ই পাওয়া যায়। মানব সেবায় জীবসেবা বা ঈশ্বর সেবা, এটাই তার কাছে পরম ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু সমাজসেবামূলক কাজে এই গবেষক লিটন রাকিবকে দেখা গেছে বিগত দিনে। এত কম বয়সে এভাবে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সুন্দরবন থেকে সোনারপুর তাঁর সমাজ সেবা পৌঁছে যাবে ভাবতেও অবাক লাগে।

গতবছরের লকডাউনের সময় টানা তিনমাস ধরে দুস্থ অসহায়দের খাওয়া দেওয়া শুরু করেছিল লিটন ও তার সহযোগী বন্ধু বোন আরফিনা । এ বছরে আবার একই রকম লকডাউন তাই গতকাল থেকে অসহায় সহায়সম্বলহীনদের হাতে খাবার তুলে দিলেন,ঘুটিয়ারি শরীফের অফিসার ইনচাজ’ ফারুক রহমান, কবি ও গবেষক লিটন রাকিব, অমল মণ্ডল, হাসিবুর রাহমান প্রমুখ।

এইভাবে প্রতিদিন এক এক রকম খাদ্যতালিকায় একটি জিনিস থাকবে, কখনো ডিম, কখনো সোয়াবিন আর কখনোবা সবজি তেমনি জানা গেছে লিটন বাবুর কাজ থেকে।

Related Articles

Back to top button