জীবিকা

‘বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আরএসএস-এর তল্পিবাহক’, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে আক্রমণ সৃজনের

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়  নিয়ে জোর চর্চা চলছে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে। চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি বিশ্বভারতীর বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে এক অধ্যাপককেও। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব ভারতের ছাত্র ফেডারেশেন। এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সরাসরি অভিযোগ তোলেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বিশ্বভারতীর সুনাম নষ্ট হয়েছে। তিনি বিজেপি, আরএসএসের হয়ে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ সৃজনের। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আরএসএস-এর ‘তল্পিবাহক’ বলে খোঁচা দেন সৃজন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগেরও দাবি তুলেছে এসএফআই।

সৃজন বললেন, “ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চলছে। ছাত্রদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্রদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সমস্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ যা যা শিখিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সরানোর একটা চক্রান্ত চলছে। সেটা বন্ধ করতে হবে। ৬ জন সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রের সাসপেনশন ফিরিয়ে নিতে হবে। কোর্টের রায় থাকার পরও সোমনাথ সৌকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে ভর্তি নিতে হবে।”

সৃজন ভট্টাচার্য আরও জানান, তিনি আগামী ৫ জানুয়ারি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করবেন। যদি দেখা না হয়, পরবর্তীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলিকেও আহ্বান জানিয়েছেন সৃজন। বললেন, ” দরজা খোলা আছে। সকলের সাহায্য, সমর্থন নিয়ে আমরা বিশ্বভারতীর গরিমা ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চালাব।”এদিকে বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি নিয়ে কী ভাবছে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলি? জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি ত্রিনাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি বলেন,”এই অভিযোগ আমরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। মাঝে মধ্যে এসএফআইয়েরই স্ট্যান্ড পয়েন্ট বোঝা যায় না। উপাচার্য তো একজন শিক্ষক। তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত লজ্জাজনক। তাঁকে দেখে মনে হয়, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন।”

যদিও উপাচার্য বিজেপি-আরএসএসের হয়ে কাজ করছেন বলে যে অভিযোগ সৃজন তুলেছেন, তা উড়িয়ে দিয়েছেন এবিভিপি নেতা সঙ্গীত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এই ভিসির বিরুদ্ধে আমরাও আন্দোলন করেছি। এমনকী তাঁর বাসভবন পর্যন্ত ঘেরাও করেছি। কোনও ব্যক্তির দায় কোনও দলের উপর চাপানো উচিত নয়। যাঁরা এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছেন, আমার মনে হয় তাঁদের সঙ্গেই ভিসির যোগাযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গুন্ডামি করলে সাসপেন্ড তো হতেই হবে।”

Related Articles

Back to top button