বাঁকুড়া: বড়জোড়া ও বিষ্ণুপুরের পর এবার বাঁকুড়ার রাইপুরে তৃণমূলের ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে দলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের রাইপুর ব্লকের ব্লক কমিটি ঘোষণার বৈঠকের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োতে রীতিমতো ব্লক সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিদ্রোহ করতে দেখা যায় দলীয় নেতৃত্বের একাংশকেই। বিক্ষুব্ধ সেই অংশ তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে। অস্বস্তিতে পড়ে বিষয়টিকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির কটাক্ষ তোলাবাজির ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়েই তৃণমূলের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব।

বাঁকুড়া জেলায় সম্প্রতি তৃণমূলের জেলা কমিটি গঠনের পাশাপাশি একে একে চলছে দলের ব্লক কমিটি গঠনে কাজ। আর তাতেই একের পর এক এলাকায় প্রকাশ্যে উঠে আসছে তৃনমূলের অন্দরের দ্বন্দ্বের ছবি। গত বুধবার বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকে তৃণমূলের ব্লক কমিটি গঠনের বৈঠকের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায় ব্লক কমিটি ঘোষণার পরেই একদল তৃণমূল নেতা বৈঠকের মাঝেই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছেন।

পরে বিক্ষুব্ধ ওই তৃণমূল নেতাদের একাংশ দাবি করেন টাকা তোলার উদ্দেশে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ব্লক কমিটিতে বিজেপির লোকজন ও ঠিকাদারদের স্থান দিয়েছেন। শুধু তাই না যোগ্য সংগঠকদের বাদ দিয়ে ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ ও পেটোয়া লোকেদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে দলের ব্লক কমিটি এমন অভিযোগও তোলেন তাঁরা।

ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে আসুন রামধুরা, এবারে গ্রীষ্মের ছুটি হয়ে থাকবে চিরস্মরণীয়

দলের বিক্ষুব্ধদের বক্তব্যকে কার্যত সমর্থন করে দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদকও। দলীয় নেতৃত্বের একাংশের এই আচরণে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্ব। বিষয়টিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ তাঁরা।

সমস্যা হয়ে থাকলে তা দলের অভ্যন্তরে বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন তাঁরা। বিজেপির কটাক্ষ কাটমানি আর তোলাবাজির ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়েই তৃণমূলের অন্দরে এই দ্বন্দ্ব।