বিনোদন

হাতায় করে তৃষ্ণার্ত পায়রার মুখে জল ঢেলে দিল ছোট্ট ছেলে

ছোট্ট ছেলে, তার মন বিরাট বড়। উড়তে উড়তে তার ঘরের জানলার সামনেই বসেছিল একটা পিপাসার্ত (Thirsty) পায়রা। সে ছেলে দেখেই বোঝে, পাখিটাকে একটু জল দিতে হবে! কিন্তু কীভাবে তাকে জল দেওয়া যায়। ঘরের জানলা যে চারিদিক থেকে ঘেরা। সামান্য যে ফাঁকটুকু রয়েছে, সেখান থেকেই হাতায় করে সে টুকটুক করে জল খাইয়ে দিল তৃষ্ণার্ত পায়রাটিকে (Pigeon)। আর সেই ভিডিয়ো দেখে নেটপাড়ার লোকজনের মন বিগলিত। ছেলে ছোট (Little Boy) হলে কী হবে, তার যে এত বড় মন, তা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন নেটিজ়েনরা। খুব ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়োটি।

লিঙ্কডইনে জামাল এম সুলতান নামের এক ব্যক্তি এই ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ভিডিয়ো তাঁর তোলা নয়। জোয়াকিন ফোনিক্সের উদ্ধৃতি ধার করে ক্যাপশনে লিখছেন, “একটা প্রাণীর প্রতি সদয় হতে একটা মানুষের কাছ থেকে কিছুই দূরে সরে যায় না।” তারপর তিনি ওই ভিডিয়োর ক্যাপশনে আরও যোগ করে লিখছেন, “এই ছোট্ট ছেলেটার হৃদয় অনেক বড়। তীব্র গরমে পাখি ও পশুদের বেঁচে থাকা দুষ্কর করে তুলেছে। একজন মানুষ হিসেবে এই প্রাণীদের প্রতি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। সে আপনার পোষ্য হোক বা দূর থেকে উড়ে আসা কেউ, তাদের প্রতি আপনি যেভাবে সদয় হতে পারেন।”

ভিডিয়োতে দেখা গেল, জানলার এক প্রান্তে চলে গিয়েছে ছোট্ট ছেলেটি। তার ঠিক নিচেই বসে রয়েছে তৃষ্ণার্ত সেই পায়রা। ছোট্ট ছেলেটির সঙ্গে রয়েছে একটি গ্লাস। কিন্তু সেই গ্লাস থেকে কীভাবে সে জল খাওয়াবে তৃষ্ণার্ত পায়রাটিকে? উপায় খুঁজে না পেয়ে হাতা দিয়েই পায়রাটির মুখে আস্তে আস্তে জল ঢেলে দেয় সে। আর তাতেই শেষমেশ তৃষ্ণার্ত পায়রাটি তার তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হয়।

এই খবরটিও পড়ুন

সুযোগ পেলেই ফেরাতে হবে সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের, পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

 

জামাল নামের ওই লিঙ্কডইন ব্যবহারকারী পশু-পাখিদের জল খাওয়ানোর কয়েকটি টিপসও শেয়ার করেছেন। এই গরমে তাদের প্রতি সদয় হতে দুটি কৌশলের কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রথমে তিনি বলছেন আপনার ব্যালকনি বা বাড়ির বাইরে এক বাটি জল রেখে দিতে। পাখিরা সেই জল পান করেই নিজেদের হাইড্রেটেড রাখতে পারেন। তারপর তিনি যোগ করে বলছেন, কোনও পাখিকে যদি দেখেন এই গরমে সে উড়তে পারছে না, তখনও তাকে একটু জল দিন।

এই ভিডিয়োটি খুবই ভাইরাল হয়েছে। প্রায় 13,000 এরও বেশি লাইক পড়েছে ভিডিয়োতে। 400-রও বেশি কমেন্ট পড়েছে এবং প্রায় 300-র কাছাকাছি রিপোস্ট হয়েছে। এই সংখ্যাগুলি ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। আর এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে দিচ্ছে, ছোট্ট ছেলের কাজ কীভাবে বড়দের মন জিতে নিয়েছে।

Related Articles

Back to top button