রাজ্য

ঘূর্ণিঝড়ের ফলে অনেকের মাথার উপরে ছাদ নেই

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী, গোসোবা, ক্যানিং ও উত্তর ২৪ পরগনার সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে, দেশপ্রাণ ব্লকের উত্তর দেউলপোতা গ্রামের ক্ষেতমজুর ও তপশিলি জাতীভূক্ত পবিত্র মণ্ডলের মেয়ে পঞ্চমী মণ্ডল (১৩) শ্যামচক অাপার প্রাইমারী স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। অামফান সুপার সাইক্লোনে তাদের কুঁড়েঘরে অাস্ত খিরীশ গাছ ভেঙে পড়ে মাথার ছাদ কেড়ে নিয়েছে। প্রবল বাতাসে পঞ্চমীর পাঠ্যবই তছনছ হয়ে বৃষ্টিতে চপচপে।দুর্যোগ কবলিত এলাকায় দেখা গেল ছাত্রী পঞ্চমী মণ্ডল তাদের বাড়ীর উপর পড়ে থাকা খিরীশ গাছের উপরে মেলে বই শুকনো করতে দিয়েছে। দেশপ্রাণ ব্লকের অযোধ্যাপুর হরিজন পল্লী শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের উপর গাছ পড়ে দফারফা অবস্থা। পাশের অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র ও তথৈবচ। অযোধ্যাপুর ও মৈশামুণ্ডা হরিজন পল্লী তে তপশীলি পাড়ায় শতকরা ৯০/৯৫ ভাগ কাঁচাবাড়ি ঝড়বৃষ্টি তে বিধস্ত। প্রায় ৫০ জন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রেই অাশ্রয় নিয়েছে। মামনী ঘোড়াই রা নিজেদের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের মেঝেতে কালো পলিথিন পেতে ছিন্নভিন্ন বই শুকানো করতে দিয়েছে। কোথাও ত্রিপল,খাদ্য সামগ্রী, ক্যাশ রিলিফ বা সরকারী ত্রাণের ছিটেফোঁটা দেখা নেই। সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন দুর্গত এলাকা পরিক্রমা করে ছাত্র-ছাত্রীদের দুরবস্থা ও বিপন্ন মানুষদের কথা বিশদ উল্লেখ করে অবিলম্বে ত্রিপল,খাদ্য সামগ্রী ও ক্যাশ রিলিফ সহ পর্যাপ্ত সরকারী ত্রাণ ও অনুদান প্রদানের অাবেদন জানিয়েছেন। সেই সাথে রাজ্যের মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন মামুদ হোসেন।

Related Articles

Back to top button