রাজ্য

রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে কাঁথি স্টেশনে আটক ৯ শ্রমিক

প্রদীপ কুমার মাইতি:বীরভূমের ৯জন শ্রমিক কাঁথি স্টেশনে আটক . দিঘাতে রাজমিস্ত্রি কাজ করতে আসা লকডাউনের কারণে সেখানেই আটকে পড়েন তাঁরা । তাই তারা রেল লাইনের উপর হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন । কিন্তু মাঝপথেই তাঁদের আটকে দিল রেল পুলিশ ।

কাঁথি ৬ মে : রেল লাইনের উপর হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন ভিন জেলার ৯ জন নির্মাণ শ্রমিক । কিন্তু,কাঁথি রেলস্টেশনের উপর দিয়ে যাওয়া দেখে রেল পুলিশের সন্দেহ হয় । জিজ্ঞাসা করতেই জানা যায়, দিঘা থেকে তাঁরা বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন । সেখানেই রেল পুলিশ তাঁদের আটকে কাঁথি থানায় খবর দেয় দেয় । কাঁথি থানার পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায় কাঁথি থানা তে l শ্রমিকদের পরিচয় নথিভুক্ত করেন কাঁথি থানার পুলিশকর্মীরা । ফের তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কর্মস্থানে ।

বীরভূমের ওই ৯ জন শ্রমিক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা তে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন । কিন্তু, লকডাউনের কারণে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । রোজগার নেই । কন্টাকটার ও তাদের দেনা-পাওনা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন ছেড়ে দিয়েছেন l এর ফলে আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন । ভেবেছিলেন, দ্বিতীয় দফার লকডাউন উঠলে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরবেন । কিন্তু, লকডাউনের মেয়াদ আরও দু’সপ্তাহ বেড়ে যাওয়ায় তাই পায়ে হেঁটে দীঘা থেকে রওনা দিয়েছিলেন রেললাইন ধরে । কিন্তু থেকে 35 কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কাঁথি স্টেশনের কাছে এসেই রেল পুলিশের হাতে ধরা দিলেন l সেই সময় কাঁথি স্টেশনে কাছে তাঁদের আটকান কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা । সঙ্গে ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের । জিজ্ঞাসা করতেই বাড়ি ফেরার কথা জানান তাঁরা ।এক শ্রমিক বলেন, “লকডাউনের জেরে প্রায় দেড় মাস ধরে আমরা দিঘাতে আটকে রয়েছি । খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছি । হাতে না আছে টাকা না আছে কাজ । এই অবস্থায় বাড়ি ফেরার জন্য প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন জানিয়েছিলাম । কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি । এরই মধ্যে আবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে । তাই নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য রেললাইন ধরে রওনা হয়েছিলাম । কিন্তুরেল রেল পুলিশ কাঁথি স্টেশনে আটকে দিল । এখানে না খেতে পেয়ে মরার চেয়ে বাড়ি ফেরা অনেক ভালো ।” কাঁথি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিন জেলার ওই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button