রাজ্য

অন্তত এক লাখ মুসলিম ছেলে বাড়িতে ইদ পালন করতে পারেনি: শুভেন্দু

কলকাতা: সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বাংলার যে কোনও ভোটে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক একটি বড় ফ্যাক্টর। এদিকে সম্প্রতি সাগরদিঘির উপনির্বাচনে ( যেখানে ৬০ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোটার) ভরাডুবি হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের। প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও অবশ্য সেখানে জিততে পারেনি। কিন্তু তাতে পদ্ম শিবিরের কুছ পরোয়া নেই, সংখ্যালঘু ভোটাররা যে তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, এতেই তৃপ্তি বিজেপির। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন,‘সংখ্যালঘু মুসলিমদের বড় অংশের ভোট ওনার হাত থেকে চলে গিয়েছে, তা প্রমাণ হয়েছে। সাগরদিঘিতে আমরা হয়ত জিততে পারিনি, কিন্তু তৃণমূল সেখানে হেরেছে এবং সংখ্যালঘুরা তাঁদের আস্থার কেন্দ্রস্থল পরিবর্তন করেছেন।’

বাংলার কর্মসংস্থানের যে অভাব রয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ তুলেছে, এদিন সেই প্রসঙ্গে আরও একবার শাসক শিবিরকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘অন্তত এক লাখ মুসলিম ছেলে বাড়িতে ইদ পালন করতে পারেনি। কারণ, কাউকে কেরলে কাজ করতে হয়। কাউকে কুয়েতে এবং অন্যান্য ভিন দেশে কাজ করতে হয়। আব্দুল সালার বলে একটি ছেলে কেরলের এর্নাকুলমে থাকে, সে আমাকে নিজে ইদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। কাকদ্বীপের নেতাজি নগরের আব্দুর সামাদ বেঙ্গালুরু থেকে আমায় ইদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কাজ দিতে পারেননি। শিক্ষা-স্বাস্থ্য দিতে পারেননি। আপনারা ভেলোরে, বেঙ্গালুরুতে, মুম্বইয়ে চলে যান, লাইন দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের লোকদের দেখতে পাবেন। কারণ, তারা এখানে চিকিৎসার সুযোগ পান না।’

 

দক্ষিণী পোশাকে হেঁটে রোড শো প্রধানমন্ত্রীর, ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা কেরলবাসীর

 

বিরোধী দলনেতার দাবি, বাংলায় সংখ্যালঘু মুসলিমের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। তাদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ উর্দুভাষী এবং বাকি ৯০ শতাংশ বাংলাভাষী। তারপরও কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দিতে বক্তব্য পেশ করেন, তা নিয়েও প্রশ্ন শুভেন্দুর। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুর বক্তব্যে উঠে আসে রিজওয়ানুর রহমান থেকে আনিস খানের প্রসঙ্গেও। তাদের কারও পরিবারকে রাজ্যের বর্তমান সরকার ‘ইনসাফ’ দিতে পারেনি বলেও দাবি বিরোধী দলনেতার।

যদিও রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে বার বার স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, একটি উপনির্বাচন ফলাফল থেকে কখনও সামগ্রিকভাবে মানুষের মত বোঝা যায় না। তৃণমূল যে কেবল সংখ্যালঘুদের জন্যই নয়, রাজ্যের প্রতিটি মানুষের জন্য কাজ করে, সেই কথাও বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

Related Articles

Back to top button