জেলা

অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছে ভয়ঙ্কর সুন্দর চোখ, সুন্দরবনে ক্যামেরাবন্দি বাঘের দুর্লভ মুহূর্তের ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: সুন্দরবন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অন্যতম বাসস্থান। গত কয়েক বছরে সুন্দরবনে বাঘের আনাগোনা অনেকটাই বেড়েছে। লোকালয়ে বাঘের চলে আসা কিছুটা কমলেও এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাওয়ার সময় হোক, বা নদী পেরিয়ে অন্য পাড়ে যাওয়ার সময়। বিভিন্ন সময় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের বিভিন্ন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়। বাঘেদের অবাধ চলাফেরা সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণও বটে। কেবল মাত্র দক্ষিণরায়ের দেখা পেতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায়।

কিন্তু সব সময় সকলের ভাগ্য রয়্যাল বেঙ্গলকে চাক্ষুস করার সৌভাগ্য থাকে না। তবে অনেকের সামনে এমন দৃশ্য চলে আসে। যা সারা জীবনেও কেউ ভুলতে পারেন না। সে রকমই রাতের অন্ধকারে বাঘের আনাগোনার ছবি খুব একটা মেলে না। কিন্তু সম্প্রতি এক বন বিভাগের অফিসারের ক্যামেরাবন্দি হয়েছে রাতের অন্ধকারে বাঘের চলাফেরা। রায়দিঘি রেঞ্জের বনি ক্যাম্পে এই বাঘের ছবি লেন্সবন্দি করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে এক দম্পতিও রাতের অন্ধকারে বাঘকে ক্যামেরাবন্দি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

সুন্দরবনের আজমলমারি জঙ্গলের মধ্যে থাকা এই বনি ক্যাম্পেই রয়েছে পর্যটকদের জন্য উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকেই ম্যানগ্রোভের বাদাবনের দিকেই নজর যায় পর্যটকদের।আর যাতে বাঘের দর্শন পাওয়া যায় তাই বনদফতর একটি মিষ্টি জলের পুকুর কেটেছে। সেখানেই মিষ্টি জল খেতে আসে বাঘ, হরিণ বন্য শুয়োর সহ অন্যান্য জীবজন্তু। তবে কয়েকদিন ধরেই জোড়াবাঘের দর্শন মেলায় বনি ক্যাম্পে পর্যটকদের আনাগোনা কয়েক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। এমনিতেই বাঘের দর্শন মেলে দিনের আলোতে। তবে রাতের বেলাতেও যে বাঘের দর্শন মেলে তা চাক্ষুষ করেছেন দিন কয়েক আগে বনি ক্যাম্পে বেড়াতে আসা এক দম্পতি। তাঁরা ক্যামেরাবন্দিও করেছেন সেই দুর্লভ দৃশ্য।

শনিবার রাতে বনি ক্যাম্প থেকে সুন্দরবনের মহারাজকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের এডিএফও চিন্ময় বর্মন। এমনিতেই রাতের অন্ধকারে বাঘের ছবি তো দূরের কথা বাঘের দর্শনই মেলেনা। ইতিমধ্যেই সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের এলাকায় ক্যামেরা বসানো ও ছবি তোলার কাজ শেষ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের পক্ষ থেকে ১৫৭ জোড়া বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা বসানো হয়েছে মাতলা, রায়দিঘি, রামগঙ্গা রেঞ্জ এলাকায়। এরপর সেই ক্যামেরা থেকে তোলা বাঘের ছবি থেকেই নির্ণয় করা হবে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা।

Related Articles

Back to top button