রাজ্য

কাস্তে-হাতুড়িতে ‘হোয়াইট-ওয়াশ’ ঘাসফুল, দাঁড়িয়ে দেখলেন তৃণমূল কর্মীরা

বর্ধমান: ঘাসফুল আঁকা প্রতিটি দেওয়াল হোয়াইট ওয়াশ করছে সিপিএম। ‘ঘাসফুল’ মুছে ফেলে সেখানে এঁকে দিচ্ছে কাস্তে-হাতুড়ি-তারা। স্বচক্ষে এইসব দেখার পরেও আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের সাফাই,”বিধানসভা ভোটে হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাওয়া বামেরা আগামী দিনেও শুধু দেওয়ালেই থাকতে চাইছে।”

সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূলের শোচনীয় পরাজয় দেখে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস,সিপিএম ও বিজেপি। এর রেশ যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আছড়ে না পড়ে সেই ব্যাপারে আবার অতি সতর্ক তৃণমূলও। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু করে টানা ৬০ দিন রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে ঘুরে জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও, হাল ছাড়তে নারাজ বাম শিবির। তৃণমূলকে টেক্কা দিতে পুরানো কায়দায় সিপিএম। ‘মাচা বৈঠক’ করা থেকে শুরু করে দেওয়াল লিখন, মিটিং ,মিছিল সবই তারা পুরোদস্তুর করে যাচ্ছে। তারই মধ্যে দেওয়াল লেখায় তৃণমূলকে যেন একেবারেই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে জামালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সিপিএমের তরুণ ব্রিগেড।

তারা হোয়াইট ওয়াশ করে দিয়েছে জামালপুরের শিবতলা থেকে হুসুমপুর পর্যন্ত চারটি বুথ এলাকায় লেখা থাকা সব দেওয়াল। এখন ওইসব দেওয়ালে কাস্তে হাতুড়ি তারা এঁকে তার পাশে পঞ্চায়েত ভোটে বাম প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা বাম কর্মীরা লিখে দিচ্ছেন। একই ভাবে দেওয়াল লেখা ও লাল পতাকায় এলাকা ছয়লাপ করে দেওয়ার কাজও বাম কর্মীরা করে যাচ্ছেন।

 

হাতে অ্যাসিড, পুরুষ সেজে প্রেমিকের বিয়েতে হাজির যুবতী

 

যদিও, এই অভিযোগ মানতে চাননি সিপিআইএম জামালপুর ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুকুমার মিত্র। তিনি বলেন, “দেওয়াল সিপিএমেরও নয়,তৃণমূলেরও নয়। দেওয়াল তো বাড়ির মালিকের।” বিজেপি নেতারা আবার সিপিএম কর্মীদের এই অগ্রণী ভূমিকাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তারা আবার আগামী মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে জামালপুরে সভা করিয়ে সিপিএম ও তৃণমূল দুই দলকেই ধাক্কা দিতে চাইছে।

তৃণমূল বিধায়ক অলক মাঝি বামেদের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন,”গা জোয়ারি করে সিপিএম কর্মীরা তৃণমূলের লেখা দেওয়াল দখল করেছে। প্রশাসনিক ভাবে ছাড়াও দলীয় ভাবেও আমরা এর বিরুদ্ধে লড়বো।”

Related Articles

Back to top button