জেলা

গ্রেফতার মূল অভিযুক্তের ভাই বারুইপুর জোড়া খুন কাণ্ডে, পাণ্ডা অধরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: বারুইপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। বারুইপুর থানার নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গোড়দাতে জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ মণ্ডল ওরফে বলাইয়ের ভাই আব্দুল মজিদ মণ্ডলকে দীর্ঘ জেরার পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে  বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তবে ঘটনার ২ দিন পরও থমথমে এলাকা। মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার। সাজ্জাদ ও শারফুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা তথা এলাকার বাসিন্দারাও প্রশাসনের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগে থেকেই বলাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

 

বলাইয়ের বিরুদ্ধে, তোলাবাজি,  বোমাবাজি, খুন, ডাকাতির মতোও অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ত্রাস বলাই। তবে বারুইপুরের এই জোড়া খুনের পর স্থানীয় বাসিন্দারাও সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হয়েছেন। এলাকার এক বাসিন্দার বক্তব্য, “লোকটা একটাই জিনিস বোঝে, সেটা হল বোমা। এত অস্ত্র ওর বাড়িতে রয়েছে, ভাবতেও পারবেন না। কিন্তু প্রশ্নটা এটাই এত বন্দুক বোমা আসে কোথা থেকে।” এদিকে অভিযোগ, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা হুমকিরও মুখে পড়ছেন। স্থানীয় দাবি, নিহতের মা ‘দেখে নেওয়ার’ও হুমকি দিচ্ছেন। নিহতের মায়ের বক্তব্য, “আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। পরে দেখে নেবে।”

 

প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বারুইপুরে গৌড়দা গ্রাম। আগের রাত দুটো নাগাদ গুলিবিদ্ধ হন সাজ্জাদ মণ্ডল ও তাঁর বন্ধু শারফুদ্দিন লস্কর। সাজ্জাদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর শারফুদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয় চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

 

বুধবার দুপুরের পর শারফুদ্দিনেরও মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর আগে, শারফুদ্দিন হামলাকারীর নাম বলে যান। হাসপাতালের বেডে শুয়েই শারফুদ্দিন বলেন, “বলাই ও তাঁর লোকজন গুলি চালিয়েছিল।” বুধবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গৌড়দা গ্রামে বলাইয়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। এখনও ওই এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

Related Articles

Back to top button