জেলা

সুপ্রিম কোর্টে ৫২৫0 হয়ে গেল ৮৮৬২ অযোগ্য শিক্ষকদের সংখ্যা বদল। কেন ব্যাখ্যা নেই সিদ্ধার্থের সিদ্ধার্থের

সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শেষে এ দিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে বসা চাকরি খোয়ানো শিক্ষকেরা অনশন তুলে নেন। মৌমিতা সরকার বলেন, ”এসএসসি বলছে, তাদের কাছে সব ওএমআর শিট নেই। সেটা ঠিক নয়। নবম-দশমের শিক্ষকদের কাছে ওএমআর শিট রয়েছে। যাঁদের কাছে ওএমআর শিট নেই, তাঁরা তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চেয়ে সেই ওএমআর শিট পাচ্ছেন। সেই ওএমআর শিট কোথা থেকে দিচ্ছে এসএসসি?”

এ দিন শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের উদ্যোগে তমলুক শহরে অবস্থান-বিক্ষোভ উঠে গিয়েছে। তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিজন সরকার বলেন, ”লোকসভা ভোটের মুখে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাড়াহুড়ো করে রায় দিয়েছিল।”

২০১৬-তে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে এসএসসি-র কাছ থেকে অযোগ্যদের তালিকা চেয়ে না-পেয়ে সে বারের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন এসএসসি, রাজ্য সরকার এবং চাকরি হারা শিক্ষকেরা। এমনই এক শিক্ষিকা স্বর্ণালী চক্রবর্তী বলেন, ”থাকার কথা ক্লাসরুমে, আর থাকতে হচ্ছে কোর্ট রুমে। এই সম্মানহানি পুরোপুরি বন্ধ হোক।” শিক্ষক বৃন্দাবন ঘোষের কথায়, ”এসএসসি যদি হাই কোর্টের কাছে বলত, তারা যোগ্য ও অযোগ্যর তালিকা দিতে পারবে, তা হলে আমাদের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে হত না।”

Related Articles

Back to top button