জেলা

মিথ্যে অভিযোগ, মামলা তুলে নেব’! সন্দেশখালিতে ‘ধর্ষণের শিকার’ আরও এক মহিলার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে

প্রকাশ্যে আসা নতুন ভিডিয়োয় মহিলার বক্তব্য, তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে রান্নার কাজের টাকা দেওয়া হয়নি। সেই অভিযোগকেই ধর্ষণের অভিযোগের রূপ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে না জানিয়ে। মহিলার দাবি, ”আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার শাশুড়িকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল মাম্পি দাস আর পিয়ালি দাস। দিল্লি থেকে মহিলা কমিশন এসেছে বলে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। থানায় ঢুকিয়ে দিয়ে গেট ফেলে দিয়েছিল। উনি আর বেরোতে পারেননি। অভিযোগ কী জানতে চেয়েছিল, উনি জানিয়েছিলেন যে রান্নার কাজের টাকা পাইনি। এর পর সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল। এর পর ওখান থেকে চলে যেতে বলেছিল। আমি বাড়ি ফিরে পিয়ালিকে ফোন করে জানতে চেয়েছি। পিয়ালি আমায় বলেছে, ও কোনও ব্যাপার নয়। অভিযোগ ছিল, তাই সই করিয়েছি। তোমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারো। এক সপ্তাহ পরে জানতে পারলাম, তিন-চার জনকে দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করানো হয়েছে। অভিযোগ ছিল, রাতে আমাদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।”

সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ৩২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। সেই ভিডিয়ো স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, সন্দেশখালিতে টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ‘মিথ্যে’ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। বসিরহাট আসনে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও দু’হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ‘মিথ্যে’ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ওই পদ্মনেতা। বিজেপি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ভিডিয়োকে সাজানো ও বিকৃত বলেছে। গঙ্গাধরও কণ্ঠস্বর বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই আরও এক মহিলা দাবি করলেন, তিনিও ‘ধর্ষণের শিকার’ বলে থানায় ‘মিথ্যে’ অভিযোগ করা হয়েছিল।

সন্দেশখালিতে ধর্ষণের ‘মিথ্যে’ অভিযোগ তোলা হয়েছিল বলে দাবি করলেন আরও এক মহিলা। সেই মহিলার বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। সেই ভিডিয়োয় মহিলার দাবি, তাঁকেও ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল থানায়। না জানিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল।

পিয়ালির অবশ্য দাবি, সব অভিযোগ মিথ্যে। তিনি বলেন, ”রেখা পাত্রের সঙ্গে থানায় গিয়ে উনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে হয়তো পারিপার্শ্বিক চাপে উনি মামলা তুলে নিতে চান। তুলেও নেন। সাদা কাগজে সই করানোর যে কথা হচ্ছে, তা মিথ্যে। থানায় তো সিসিটিভি আছে। সেটা দেখা হোক। শাসকদলের লোকেরা টাকাপয়সার লোভ দেখিয়ে মহিলাদের দিয়ে এ সব বলিয়ে ভিডিয়ো ভাইরাল করছে। এ সবের কোনও সত্যতা নেই। তদন্ত হোক। যদি দোষী প্রমাণিত হই, তা হলে আইন যা শাস্তি দেবে, মাথা পেতে নেব। আর যদি তা না হয়, তা হলে কিন্তু আমি এদের নামে মানহানির মামলা করব।” মাম্পির বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

Related Articles

Back to top button