জেলা

চাননি বিয়ে করতে, ঘৃণ্য আচরণ প্রেমিকের প্রেমিকার ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার নামে

নিজস্ব সংবাদদাতা:   স্বামীর ঘর ছেড়েছেন বেশ কিছুদিন হয়েছে। ছেলেকে নিয়ে একাই ভাড়া থাকতেন। সেখানে আবার পরিচয় হয়েছিল অন্য এক যুবকের সঙ্গে। এবার সেখানেও গোল। সেই যুবকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। যুবক তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু ছেলেকে সেভাবে ভালবাসতেন না ওই যুবক। তাই তাঁকে আর বিয়ে করতে রাজি হননি যুবতী। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।

জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে শেওড়াফুলির এক যুবক তাপস দে’র সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোন মারফৎ পরিচয় হয়। সেই থেকে দু’জনের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু লাগাতার ওই যুবক মহিলাকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে থাকেন বলে অভিযোগ। কিন্তু ওই মহিলা কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় নানা ভাবে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন।

মঙ্গলবার ছেলেকে নিজেই স্কুলে দিতে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। ফেরার কথা ছিল স্কুল বাসে। কিন্তু যুবতীর বয়ান অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন তিনি। প্রতিবেশীরা তাঁকে জানান, হয়তো এই ঘটনার পিছনে ওই যুবকেরই হাত রয়েছে। ফোন করে দেখেন ওই যুবকের মোবাইলও বন্ধ।

এরপর নিজেই ফোন করে বিয়ের জন্য ফের চাপ দিতে শুরু করেন ওই যুবক। না হলে ছেলেকে খুনেরও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ছেলেকে ফিরে পেতে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। সোনারপুর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। শেওড়াফুলি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। উদ্ধার করা  হয় ওই নাবালককে।

অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই যুবতী। অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজতে থাকায়, তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যুবতী বলেন, “আমি যখন ছেলেকে পাইনি, তখনই সন্দেহ হয়েছিল। এর আগে আমার ছেলেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধরও করে। আমাকে বিয়ে করার জন্য খুবই চাপ দিত। কিন্তু আমি এখনও ছেলেকে ছেড়ে বিয়ে করতে চাইনি।”

Related Articles

Back to top button