MY CATAGORY

তরজায় ভেস্তে গেল গোটা বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব, কেন্দ্রকে দুষে আজ ‘তিরঙ্গা মিছিল বিরোধী সাংসদদের

নয়া দিল্লি: সংসদ শুরু হতে না হতেই মুলতুবি! একদিন নয়, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে প্রায় প্রতিদিনই মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের  মুখ বন্ধ করতেই কেন্দ্রীয় সরকার সংসদ অধিবেশন বানচাল করে দিয়েছে, এই অভিযোগ নিয়েই এবার রাজধানীর রাজপথে নামছেন বিরোধীরা। আজ, বৃহস্পতিবার একাধিক বিরোধী দলের সাংসদরা মিলিতভাবে সংসদ থেকে বিজয় চক অবধি তিরঙ্গা মার্চ করবেন। সংসদের দুই কক্ষ মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর তারা তিরঙ্গা মার্চ বের করবেন। এরপরে বিরোধী সাংসদরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলেও জানা গিয়েছে।

কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে জানান, সরকার যেভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে প্রতিদিন সংসদের দুই কক্ষ মুলতুবি করে দিয়েছে, তার প্রতিবাদে বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদরা মিলিতভাবে সংসদ চত্বর থেকে বিজয় চক অবধি তিরঙ্গা মিছিল করবেন। তিনি জানান, এদিনের কর্মসূচির পাশাপাশি ভবিষ্যতেও সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচিতে একজোট হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বিরোধী দলগুলি।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালও জানান, বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিতভাবে সংসদের দুই কক্ষ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরই তিরঙ্গা মিছিল করা হবে। তিনি বলেন, “এবারের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব সম্পূর্ণরূপে বিফল হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের মনোভাবের কারণে। এই প্রথং ট্রেজারি বেঞ্চ অধিবেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিল। আদানি ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য শুনতে অস্বীকার করেছে সরকার, এমনকী বিরোধীরা কী কারণে আলোচনার দাবি করছেন, তাও শুনতে চাননি।”

মুরগি কষা না পেয়ে বেজায় চটেছিলেন, বচসায় জড়াতেই বাবা মুগুর দিয়ে বাড়ি দিল ছেলের মাথায়

বুধবারই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের কক্ষে একাধিক বিরোধী দলের নেতারা মিলিত হন এবং সংসদের অধিবেশনে তাদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন। কংগ্রেসের ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা (উদ্ধব বাল ঠাকরে), আম আদমি পার্টি, জেডি(ইউ), সিপিআই, সিপিআই(এম), আরজেডি, জেএমএম, আরএসপির মতো একাধিক বিরোধী দল। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরে কংগ্রেসের সাংসদরা নিজেরাও সংসদীয় কমিটির বৈঠক করেন এবং নিজেদের রণনীতি ঠিক করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছিল। একদিকে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির দাবি ছিল, আদানি ইস্যু নিয়ে সংসদীয় কমিটির তদন্ত, অন্যদিকে শাসক দল বিজেপিও রাহুল গান্ধীর লন্ডনে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য়ের জন্য় ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিতে সরব হয়েছিল।  শাসক-বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভে লোকসভা ও রাজ্যসভা প্রতিদিনই মুলতুবি হয়ে যায়। পরে রাহুল গান্ধীর লোকসভায় সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়েও নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধীরা, যার জেরে বিগত এক সপ্তাহ ধরে সংসদের কার্যাবলী ব্য়াহত হয়েছে।

Related Articles

Back to top button