জেলা

তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর গুলিতে মৃত্যু , অভিযোগ উঠছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের

নিজস্ব সংবাদদাতা: গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু তৃণমূল  নেতার। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ সামনে আসছে। কয়েকদিন আগেই বসিরহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন পুলিশ কনস্টেবল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদের এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।নদিয়ার নারায়ণপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত।

বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কাজে মুর্শিদাবাদের টিয়া কাটা ঘাটে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন এই তৃণমূল নেতা। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নদিয়ার সাদিপুরের বাসিন্দা তিনি।এই ঘটনায় তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নদিয়া জেলার সম্পাদক মিঠু শাহের দাবি, ষড়যন্ত্র করে মতিরুলকে খুন করা হয়েছে। আগেই তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সরাসরি দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। নওদার ব্লক সভাপতি হাবিব শেখ ও জেলা পরিষদের নেত্রী টিনা ভৌমিক সাহার বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সামনে এনেছেন তিনি। তাঁর দাবি, হাবিব ও টিনাকে অবিলম্বে দল থেকে বরখাস্ত করতে হবে।

শুক্রবার থেকে দলের একাংশ বিক্ষোভ দেখাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, বুধবারই নদিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এক দুষ্কৃতীকেও গ্রেফতার করেছে থানারপাড়া থানার পুলিশ। এলাকার তৃণমূল নেতাকে খুন করার পরিকল্পনা করেই ওই অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরই খুন হলেন নদিয়ার তৃণমূল নেতা।উল্লেখ্য, গত সোমবার বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ হন পুলিশ কনস্টেবল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হতে হয় তাঁকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।

Related Articles

Back to top button