প্রযুক্তি

পেপার ব্যাগ বানিয়ে মাসে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়, অবিশ্বাস্য মনে হলেও অবাস্তব নয়…

এমনিতেই চাকরির বাজারে মন্দা। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে ইদানিং ঘোরাফেরা করছে Lay Off শব্দটা। সংস্থা বড় হোক বা ছোট, চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন কর্মীদের মনে মাথায়। তার উপর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেতন কাঠামোও খুব ভাল নয়। উল্টে অফিসে কাজের নির্দিষ্ট সময় বলে কিছু নেই। ৮ ঘণ্টার ডিউটি খাতায় কলমে থাকলেও অতিরিক্ত সময় থেকে যেতে হয় অধিকাংশ পেশায়। তাই অনেকেই এখন ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। লোন নিয়ে নেমে পড়ছেন অনেকেই। একটু হোমওয়ার্ক করে গুছিয়ে ব্যবসাটা সামলাতে পারলে লাভও নেহাত কম নয়। এমন ব্যবসাও রয়েছে, যাতে লাভের অঙ্ক শুনলে অবাক হবে যে কেউ। আপনি ভাবতে পারেন পেপার ব্যাগ বানিয়ে মাসে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্তও আয় করা যায়? অবিশ্বাস্য মনে হলেও যাঁরা এ ব্যবসা করছেন, তাঁরা কিন্তু এমনই হিসাব দিচ্ছেন।

সরকার প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেও, প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার এখনও দেখা যায়। দোকান বাজার থেকে কিছু কিনতে গেলে, একটা ক্যারি ব্যাগ তো লাগবেই। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতেই পারে। করছেনও অনেকে। শুধু সরকার ব্যান করেছে বলেই নয়, ইদানিং সমাজ সচেতনতাও বেড়েছে একটা বড় অংশের মানুষের। তারা নিজেরাই প্লাস্টিক ছেড়ে কাগজের ব্যাগ ব্য়বহার করছেন। তাই কাগজের ব্যাগ বানিয়ে মাসে ভাল আয় করা যেতে পারে।

পেপারের তৈরি ব্যাগ রিসাইকেল হয়ে যায়। এটা একটা বড় সুবিধা। আর এ ব্যবসায় কাঁচামালের খরচ যেহেতু খুব বেশি নয়, তাই পকেটে খুব চাপ পড়ার ব্যাপার নেই। ব্যাগ তৈরি করে তা নিজেই বিক্রি করতে পারলে লাভ সেক্ষেত্রে অনেকটা বেশি। পেপার ব্যাগ বানানোর ক্ষেত্রে মেশিনেরও প্রকারভেদ আছে। একরকম পেপার ব্যাগ বানাতে চাইলে যে মেশিন, তার দাম মোটামুটি সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার মধ্যে। যদি বিভিন্ন সাইজের পেপার ব্যাগ বানানোর মেশিন কেনেন, একাধিক মেশিন কিনতে হতে পারে। তবে একটি মেশিনে ৩-৪টি সাইজের ব্যাগ বানানো সম্ভব। ব্যাগের সাইজ বাড়াতে গেলে, সেক্ষেত্রে আলাদা মেশিন আপনাকে কিনতে হবে। সঙ্গে লাগবে Eyelet Punch Machine। যার সাহায্যে কাগজের ব্যাগে হ্যান্ডেল লাগানোর কাজ করা যাবে।

এই খবরটিও পড়ুন

পুরুষদের তুলনায় ৩ হাজার টাকা বেতন কম মহিলা যোগা ট্রেনারদের, স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে তোলপাড়

 

 

৫০ থেকে ১৫০ জিএসএম পেপার রোলের দাম বাজারে খুব বেশি নয়। সব মিলিয়ে প্রতি কিলো ব্যাগে যদি ৭০-৮০ টাকাও খরচ হয় এবং ৯০ টাকা প্রতি কিলোতে বিক্রি করা যায় ১০ টাকা করে গ্রস প্রফিট থাকবে। একটি মেশিন ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৫৫০ টাকা অবধিও আয় করা সম্ভব। তাহলে সারাদিনের হিসাবটা বোঝাই যাচ্ছে কতটা। এভাবে এগোলে মাসে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা অবধিও মুনাফা সম্ভব।

তবে মেশিন কেনার খরচ নিয়ে অনেকের একটু মাথা ব্যথা হতে পারে। একসঙ্গে এতটা টাকা সকলের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁদের জন্য সরকার নানা প্রকল্পে ঋণ দেয়। সরকারের Pradhan Mantri Mudra Yojona (PMMY) এ ক্ষেত্রে আপনার উপকার করতে পারে। Micro Business-এ সহযোগিতা করতেই এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে মুদ্রা লোন। সরকার ব্যবসা শুরুর জন্য ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা অবধিও ঋণ দেয়।

Related Articles

Back to top button