জানা-অজানা

প্রতি কেজির দাম ১২ লক্ষ, সেই ‘কিরা জারি’র টানেই ভারতে প্রবেশ চিন সেনার: রিপোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা : ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তোলপাড় দেশ। কেন্দ্রীয় সরকার বিবৃতি দেওয়ার পরও বিরোধীদের দাবি, চিনের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করল ইন্দো-পেসিফিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন (IPCSC) দাবি করেছে, হিমালয়ের বিরল ছত্রাক নিতেই নাকি বারবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। ভারতে সেই ছত্রাককে বলা হয় ‘কিরা জারি’, আবার কেউ কেউ বলেন ‘হিমালয়ের সোনা’। চিনে ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় সেই ছত্রাক। আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম উঠতে পারেন প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ লক্ষ, তাই এই ছত্রাকের ওপর নাকি চিনের বিশেষ লোভ রয়েছে, আর সে কারণেই বারবার এটির দিকে হাত বাড়াচ্ছে চিন!

এই ছত্রাকের আসল নাম ‘কর্ডিসেপ’। সাধারণত খুব উঁচু জায়গায় এই ছত্রাকের সন্ধান মেলে। দক্ষিণ-পশ্চিম চিন আর হিমালয়ের বুকে মেলে এটি। আইপিসিএসসি-র রিপোর্ট বলছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এর দিক থেকে এই মহৌষধি নিতেই এগিয়ে এসেছিল চিনের সেনাবাহিনী।রিপোর্ট বলছে, এই ছত্রাকের অন্যতম রফতানিকারী ও উৎপাদনকারী দেশ হল চিন। কিন্তু গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে উৎপাদন। চিন ও নেপালে এর পরিচিতি ‘ইয়ারসাগুম্বা’ নামে। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘ওফিওকোর্ডাইসেপস সাইনেনসিস।’

এটি শুধু ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে তাই নয়, কীটপতঙ্গের উপদ্রব থেকেও মুক্তি দিতে পারে এটি। আইপিসিএসসি রিপোর্ট বলছে, এই ছত্রাকের মূল্য এত বেশি যে এটি সংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারলে একটা গোটা শহরের অর্থনীতি সামাল দেওয়া যায়। হিমালয় ও তিব্বত অঞ্চলে বহু মানুষ জীবনযাপন করেন এই মহৌষধি সংগ্রহ করে। উষ্ণায়নের কারণে হিমালয়েই এই মহৌষধি ক্রমশ কমে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি চিনের ফৌজ অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল ভারতে। ৩০০ সেনাকে কার্যত পিটিয়ে ফেরত পাঠায় ভারতীয় সেনা। এরপর থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা বেড়েছে। ভারত-চিন সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, আকাশপথেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

Related Articles

Back to top button