মতামত

‘বাংলাকে হারানো মুশকিল, দুর্নীতি থেকে হিংসা, সব কিছুতে এক নম্বর’, তোপ মিঠুনের

নিজস্ব সংবাদদাতা : শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের  সলতে পাকানো। জেলায় জেলায় চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এরইমধ্যে মঙ্গলবার শহরে এলেন মিঠুন চক্রবর্তী)। কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে তিনি জানান, দলের সভাপতির নির্দেশে এসেছেন। যা করবেন সবাই জানতে পারবেন তিনি লুকিয়ে কিছু করবেন না। জানা যাচ্ছে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট প্রচারে তার আগমন। তবে কলকাতায় পা রাখতে না রাখতেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে দেখা যায় মিঠুনকে। তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে মিঠুন বলেন, “বাংলার ইমেজ এখন ফাটাফাটি। সব জিনিস টপ গিয়ারে চলছে। দুর্নীতিতে নম্বর ওয়ান। হিংসায় নম্বর ওয়ান।

এখন বাংলাকে হারানো মুশকিল আছে।” মিঠুনের দাবি, একটা সময় ছিল যখন বাঙালি বলে গর্ববোধ করা যেত। এখন কিছু বললে সকলে হাসে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন বলেন, “আগে একটা সময় ছিল যখন বাঙালি মানে গর্ববোধ করা যেত। সেটা যেন কোথায় একটা চলে গিয়েছে। যে জায়গায় চলে গিয়েছে বাংলা সেখান থেকে কী করে ফিরবে আমি জানি না। তবে এর জন্য আমরা সকলেই দায়ী।” সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন তিনি। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে বলেন, “মিডিয়া দায়ী। ভোটের পরে যে হিংসা হয়েছে, সেটা কতটুকু দেখিয়েছে মিডিয়া? দেখালে আজকে এই জায়গাটা আসত না। একটা রাজ্যে কোনও মিডিয়াই ছিল না যারা এই হিংসাকে দেখাবে। ৫৯ জন মানুষকে খুন করা হয়েছে। ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু, এক-দুজন ছাড়া কোনও সংবাদমাধ্যম সামনে আসেনি। আমি বিজেপির হয়ে কথা বলছি না। আমি এটা সাধারণ মানুষ হিসাবে বলছি।”

মিঠুনের বক্তব্য, রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরও হুঁশ ফিরছে না বাংলার মানুষের। তিনি বলেন, “কোনও পলিটিক্যাল সাপোর্ট না নিয়ে রাস্তায় বসেছে, আন্দোলন করছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কোনও বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের সাপোর্ট নেয়নি। কিন্তু, বাংলার মানুষের হল কী? যে বাংলাকে আন্দোলনের মুখ বলা হত, বিপ্লবের মুখ বলা হত সেই মানুষরা কোথায়? কেন পার্টিদের আসতে হবে? কেন লাগবে পার্টি? কালকে সব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে যদি মাঠে মানুষ নেমে পড়ে। কিন্তু তারা কোথায়? আমি বিল্পবের মধ্যে বড় হয়েছি। সেখানে এটা বুঝতেই পারি না কী করে হল। আমার মাথায় কিছু আসে না।” সূত্রের খবর, ২৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করবেন তিনি। শেষ দিনে তাঁর অনুব্রতর গড় বোলপুরে প্রচার করার কথা রয়েছে।

Related Articles

Back to top button