গ্রামের পাতায়

‘ বিস্ফোরণ হয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে, বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতার নাম নয় ’, তোপ দিলীপের ভূপতিনগরকাণ্ডে

নিজস্ব সংবাদদাতা: অভিষেকের সভার ঠিক আগেই ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনায় অসমর্থিত সূত্রে তৃণমূল নেতা সহ তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই ঘটনার তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “যেখানেই তাকাই হয়, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। অথবা বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক। তারাই সমাজবিরোধী। এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।”  ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। তার আগের রাতেই শুক্রবার ভূপতিনগরে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে গোটা বাড়ি ভেঙে যায়। অসমর্থিত সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজকুমার রাও, দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন  ও লালুর মৃত্যু হয়েছে।

কিন্তু তৃণমূল নেতার স্ত্রী চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। “আমার সবেমাত্র চোখটা লেগে এসেছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ হল। দেখি ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমার স্বামী রাজকুমার মান্না, আর দুই দেওর ছিল।” স্ত্রী যখন এই কথাগুলো বলছিলেন, তখনই রাজকুমারের মেয়ে ক্যামেরার সামনে বলেন, “আমি এখানে ছিলাম না। সকালে খবর পেয়ে এসেছি। দেখি ঘর ভাঙা। আমার মা বলল, তোর বাবা আর নেই। তোর বাবাকে কারা যেন নিয়ে গেল… কে নিয়ে গেল বুঝতে পারছি না।”

শনিবার সকালেও বিস্ফোরণস্থলে দেখা মেলেনি পুলিশের। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক বোমা উদ্ধার হচ্ছে। ভাঙড়, নানুর থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় আগেই শাসকদলের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রোপাইটার তৃণমূল নেতারাই। তৃণমূল নেতারা নিজেরা নিজেদের ওপরেই টেস্ট করছে।”

Related Articles

Back to top button