আত্মাশুদ্ধি

মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে বসন্তের আগমনকে উদযাপনের উৎসব বসন্তোৎসবম

নিজস্ব সংবাদদাতা: শীত পেরিয়ে বসন্ত আসছে। আর এই বসন্তের আগমনকে উদযাপন করতেই পুরোহিতরা প্রতি বছর বসন্তোৎসবম পালন করেন। সামাথা কুম্ভের পঞ্চম দিনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বসন্তোৎসবম একটি আনন্দ উৎসব। দারুচিনি, এলাচ,লবঙ্গ, হলুদ ও ভাট্টি রুট সহযোগে ভগবান পেরুমলের উদ্দেশে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।ভগবান পেরুমলের কল্যাণোৎসবমের একদিন পরে দেবতা এবং দেবীরা বসন্তোৎসবম উদযাপন করেন।

বসন্তোৎসবমের সময়, ভক্তরা একে অপরের প্রতি স্নেহ এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা অনুভব করে। এই অনুষ্ঠানের সময় আগামী জীবন সুখকর করে তোলার জন্য ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করার জন্যও সময় বের করেন লোকেরা। শ্রী রামচন্দ্র স্বামী বা ক্ষেত্র নাথ মঞ্চে আসার পরই বসন্তোৎসবম পালন শুরু হয়। তারপর ফলের রস ও পঞ্চামৃত পরিবেশন করে অভিষেকম পালন করা হয়।বসন্তোৎসবমের সময় কিছু সুগন্ধি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। এবং তা ভগবানকে অর্পণ করা হয়। এরপর যা অবশিষ্ট থাকে তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কর্পূর, জাফরান, এলাচ, লবঙ্গ, বাত্তিভেরু, চন্দন এবং হলুদের মিশ্রণ প্রভুকে অর্পণ করা হয়। এই একই মিশ্রণ পরে প্রসাদ হিসাবে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই অনুষ্ঠান। আর এই মেলা চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শত শত স্বেচ্ছাসেবক ইতিমধ্যে পৌঁছেছেন এবং আরও হাজার হাজার লোক গতকাল স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি পরিদর্শন করতে যান। সামাথা মূর্তি থেকেই এই মেলার নাম হয়েছে সামাথা কুম্ভ। বৈদিক দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক এবং বিশ্বদ্বৈতের বৈদিক দর্শনের মহান প্রকাশক শ্রী রামানুজাচার্যের অনন্ত অবদানের প্রতীক হল স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি বা সামাথা। শ্রী রামানুজাচার্য ভক্তি আন্দোলনের প্রবক্তা এবং অন্যান্য সমস্ত ভক্তি চিন্তাধারার উৎস হয়ে ওঠেন। শ্রী রামানুজাচার্য সমাজের সকল শ্রেণীর মধ্যে সমতার জন্য তাঁর যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সমর্থক ছিলেন।

Related Articles

Back to top button