রাজ্য

‘মানুষের সমর্থন কতদূর ধরে রাখতে পারে তা নিয়ে সন্দেহ আছে’, নওশাদে সুর ‘নরম’ করেও সতর্কবার্তা রেজ্জাকের

কলকাতা : গ্রেফতারির পর থেকে জনপ্রিয়তা বেড়েছে অনেকটাই। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জামিনে মুক্ত হতেই তাঁকে দেখতে মানুষের ঢল নামে জেল চত্বরে। ভাঙা গাড়ি নিয়ে মিছিলও করেন ভাঙড়ে (Bhangar)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁকে আচমকা ভাই বলে ডাকতে শুরু করেছেন সেই নওশাদ সিদ্দিকীকে (Nawshad Siddiqui) নিয়ে কী বলছেন বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ রেজ্জাক মোল্লা (Razzak Molla)? এককালে ছিলেন এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতা। পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১৬ সালে ভাঙড়ে লড়েন। জেতেনও। এখন সেই ভাঙড়েরই এখন বিধায়ক রেজ্জাকের হাঁটুর বয়সী আইএসএফ নেতা নওশাদ। টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নওশাদের খানিক প্রশংসা করলেও যেন ‘সাবধানবাণীও’ শোনালেন রেজ্জাক।

বললেন, “ভাঙড়ে ওর একটা বড় সমর্থন আছে। কিন্তু, এই সময়ে ওই সমর্থন কতদূর ধরে রাখতে পারবে সেটা নিয়ে আমার একটা সন্দেহ আছে। প্রত্যক্ষভাবে সব খবর রাখতে পারি না। তবে এখন যা শুনি আগের মতো ভাঙড়ের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ আর নেই ওর। একটু সমস্যায় আছেন। ভোট কাছে এলে সেই সমস্যাটা বাড়তে পারে।” একইসঙ্গে নিজের দলের প্রতিও খানিক ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গেল অশিতিপর রেজ্জাককে। তাঁর সাফ কথা, বয়স হয়েছে। কমেছে যোগাযোগ। তবে তাঁর বিশেষ আর খোঁজ নেন না তৃণমূলের নেতারা। বরং এখনও যোগাযোগ রয়েছে পুরনো ‘কমরেডদের’ সঙ্গে। বললেন “বয়সজনিত অনেক সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। আগের মতো আর হাঁটাচলা করতে পারি না। একজনকে ধরে নিয়ে যেতে হয়। এখন যাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে তাঁরা বেশিরভাগই আমার পুরানো সাথী। যাঁরা বামফ্রন্টের আমলে ছিল।”

এই খবরটিও পড়ুন

শীঘ্রই হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে বড় ভূমিকম্প হতে পারে? আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

 

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ধর্মতলায় পথ অবরোধ করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন নওশাদ। করতে হয়েছে টানা ৪২ দিনের হাজাতবাস। তাঁর মুক্তির দাবিতে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকেও। এদিকে নওশাদ সিদ্দিকীর (Nawsad Siddiqui) গ্রেফতারি এবং তারপর সাগরদিঘির মতো একটি বিধানসভা কেন্দ্র, যেখানে প্রায় ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার, সেখানে  উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পর থেকে অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলেরও। সেখানে দলের প্রতি রেজ্জাকের অভিমান, নওশাদের প্রতি নরম সুর, এখন ভাঙড়ের রাজনীতির কারবারিদের অন্যতম প্রধান চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Related Articles

Back to top button