প্রযুক্তি

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে চিরবিদায় বার্তা, ৩ মিনিটেই বাড়ির দরজায় হাজির পুলিশ, ফেসবুক প্রাণ বাঁচল যুবকের

নয়া দিল্লি: কর্মব্যস্ততার যুগে ঘড়ির কাঁটার পিছনে ছুটছে সকলে। এদিকে, মনকে গ্রাস করছে একাকিত্ব। সোশ্য়াল মিডিয়াই হয়ে উঠেছে একমাত্র বন্ধু। সুখ-দুঃখের যাবতীয় অনুভূতি অধিকাংশ মানুষ এখন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামের মতো সামাজিক মাধ্যমেই ভাগ করে নেন। সোশ্য়াল মিডিয়ার খারাপ যেমন অনেক দিক রয়েছে, তেমনই সোশ্য়াল মিডিয়ার দৌলতে প্রাণ বাঁচল এক যুবকের। অবসাদে জীবন শেষ করে দেওয়ার চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বছর পঁচিশের এক যুবক। ফেসবুকে বন্ধুদের সেই কথা জানাতে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করেছিলেন। ভিডিয়োয় দেখা গেল হাতে একমুঠো ওষুধ। মুখে বললেন ‘চির বিদায়…’। সঙ্গে সঙ্গে এই লাইভ ভিডিয়ো নজরে আসে পুলিশের। দ্রুত ওই যুবকের বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে নয়া দিল্লিতে।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির নন্দ নগরী এলাকার এক যুবক ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ৯টা নাগাদ তিনি ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করেন। লাইভে প্রথমে কিছু এলোমেলো কথা বলেন তিনি। এরপরেই দেখা যায়, যুবকের হাতের মুঠোয় একগাদা ওষুধ। মুখে বলে,  “চিরবিদায়…আর যেন কখনও এই দুই চোখ না খোলে”। এই কথাটি বলতেই সন্দেহ হয়। ফেসবুকের তরফে বিপদসঙ্কেত পাঠানো হয় দিল্লি পুলিশে।

 

নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ, তৃণমূল নেতাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত

 

 

ফেসবুক থেকে মেসেজ পেতেই দিল্লি পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক অপারেশন ইউনিট সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ফোন নম্বর উদ্ধার করে এবং নন্দ নগরী পুলিশ স্টেশনে খবর দেয়। থানা থেকেও এক মুহূর্ত দেরী না করেই পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয় ওই যুবকের বাড়িতে। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না মেলায় দরজা ভাঙা হয়। ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, প্রায় অবচেতন অবস্থায় ওই যুবক বিছানায় শুয়ে রয়েছেন।

সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করে দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। চিকিৎসার পরে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই যুবক। আত্মহত্যা করার জন্য় সে একসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০টি ওষুধ খেয়ে নিয়েছিল। যুবকের মা-বাবাও জানিয়েছেন, গত ৮ মার্চ থেকে ওই যুবকের মানসিক চিকিৎসা করানো হচ্ছিল।

Related Articles

Back to top button