রাজ্য

১৯ দিন পর রাজু ঝা খুনে প্রথম গ্রেফতারি, পানাগড় থেকে গ্রেফতার অভিজিৎ

শক্তিগড়: কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনে প্রথম গ্রেফতার। খুনের ১৯ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতারি। পানাগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তবে এই খুনের সঙ্গে তিনি কীভাবে যুক্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জানা যাচ্ছে, অভিজিৎ পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা। তদন্তের স্বার্থে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড চষে বেরিয়েছেন তদন্তকারীরা।  প্রশ্ন উঠছে, ১৯ দিন পর হঠাৎ করেই পানাগড় থেকেই কীভাবে গ্রেফতারি হলেন অভিযুক্ত? যদি তিনি খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতই থাকেন, তাহলে কি ঘটনাস্থলের এত কাছেই তিনি থাকবেন? সেক্ষেত্রে ভিন রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। রাজু ঝা খুনের তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়। তদন্তকারীরা বিহাড়, ঝাড়খণ্ডে গিয়েও তল্লাশি  চালান। এমনকি এই খুনের নেপথ্যে উত্তরপ্রদেশের গ্যাঙস্টারও জড়িত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন। কিন্তু এসবের পরেও অভিযুক্ত এতদিন পানাগড়েই আত্মগোপন করলেন, অথচ টেরই পেলেন না দুঁদে কর্তারা? তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

শেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজু ঝা খুনে হাজারিবাগ সংশোধনাগারে গিয়ে গ্যাংস্টার আমন সিংকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। জেলে বসেই তিনি সুপারি দিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়েও সন্ধিহান ছিলেন তদন্তকারীরা। সংশোধনাগারের প্রবেশ ও বাহির পথের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত এগোচ্ছিল। কিন্তু নিট ফল সেভাবে হাতে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে এই গ্রেফতারি।

 

কল্যাণী এমসে নিয়োগে দুর্নীতিতে ফের নিলাদ্রিশেখর দানাকে জেরা CID-র

 

 

১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় কয়লার কারবারি রাজেশ ওরফে রাজু ঝাকে। অভিযোগ, ল্যাংচা হাবের সামনে একেবারে সামনে থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। তদন্তকারীদের হাতে এসেছে ঘটনার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে তিন জন শুটারকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। রাজু গাড়ির চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন। বাঁ দিকের জানালা লক্ষ্য করেই পরপর গুলি চালিয়েছিল শুটাররা। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই সাদা গাড়িতে থাকা আব্দুল লতিফও। তাঁরও খোঁজ চলছে। এই ঘটনায় লতিফ যোগেরও একটি তত্ত্ব উঠে আসছে। সেই বিষয়টিকেও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে অভিজিৎ মণ্ডল আদতে কে, রাজু ঝা-র সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক, আদৌ তাঁর ব্যাক গ্রাউন্ড কী, সে সব নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে।

Related Articles

Back to top button