স্বাস্থ্য ও শিক্ষা

২৪ ঘণ্টাতেই ২ জনের মৃত্যু! দিল্লিতে ফের করোনার চোখ রাঙানি, চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘বিষফোঁড়া’ H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জাও

নয়া দিল্লি: ২০২০ সালের মার্চ মাসেই দেশে দাপট দেখাতে শুরু করেছিল করোনা ভাইরাস(COVID-19)। সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ লকডাউন (Lockdown)ঘোষণা করতে বাধ্য় হয়েছিল। তিন বছর পার হয়ে গেলেও করোনার বিদায় নেওয়ার নাম নেই। বরং ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ। দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার পার করেছে। সক্রিয় রোগীর (Active Cases) সংখ্যাও প্রায় ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে চিন্তা বাড়াচ্ছে কয়েকটি রাজ্যের সংক্রমণ। এরমধ্যে অন্যতম হল দিল্লি। বুধবার দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছুঁল, যা গত সেপ্টেম্বর মাসের পর সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বর্তমানে সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮৯ শতাংশে। একদিনেই করোনা সংক্রমণে মৃত্যুও হয়েছে দুইজনের।

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই রাজধানীতে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার যেখানে ১১৫ জন করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছিল, সেখানেই মঙ্গলবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২১৪ জন। একধাক্কায় সংক্রমণের হার ৭.৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১১.৮২ শতাংশে পৌঁছয়। বুধবার তা আরও একধাপ এগিয়ে ৩০০-র গণ্ডি স্পর্শ করল। সংক্রমণের হারও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮৯ শতাংশে। বর্তমানে দিল্লিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ ৯ হাজার ৩৬১। সংক্রমণে মোট মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৫২৬। রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮০৬।

 

হঠাৎ মমতার ধরনা মঞ্চে অভিষেক, বসলেন পিসির পায়ের কাছে, উপস্থিতি কি পূর্ব নির্ধারিত?

 

 

দিল্লিতে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা করোনার নতুন এক্সবিবি.১.১৬ ভ্য়ারিয়েন্ট (XBB.1.16 variant)-কেই দায়ী করেছেন। তবে এখনই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে।

তবে শুধু করোনার প্রকোপই নয়, গোঁদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো দিল্লিতে ক্রমশ বেড়েই চলেছে এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণও। করোনার মতোই একই উপসর্গ থাকায় অনেক সময় রোগ নির্ণয়েও সমস্যা হচ্ছে। দুই ক্ষেত্রেই জ্বর, সর্দিকাশিই প্রধান উপসর্গ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের তরফে জানানো হয়েছে, এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে অন্যান্য় ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। জ্বর, সর্দি, একটানা কাশির মতো উপসর্গ থাকলেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button