অামফানের প্রলয়ঙ্কারী সাইক্লোনে গোটা দেশপ্রাণ ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত
অামফানের প্রলয়ঙ্কারী সাইক্লোনে গোটা দেশপ্রাণ ব্লক, কাঁথি-১, কাঁথি-৩, খেজুরী-১ ও ২ ব্লক সহ কাঁথি ও এগরা মহকুমা র সমস্ত ব্লকে ঘরবাড়ি, বরোধান,অাম,জামরুল, কলা,পেয়ারা ইত্যাদি ফলের বাগান,পানবরোজ, মাছ,শাকসবজী, ফুল ও নার্সারী, ইট ও টালি ভাটা,কাজুবাদাম সহ জীবন-জীবিকা র সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্তব্ধ ও বিধ্বস্ত।গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত করোনায় কাজ হারিয়ে অামফানে মাথা গোঁজার ঠাঁইও পর্যন্ত হাজার মানুষের নেই। তাঁর সমস্ত কৃষি, মৎস্য, হাতের কাজ ইত্যাদি সব হারিয়ে মানুষ দিশেহারা। দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুর অঞ্চলের বাঁকিপুট, ভোগপুর,পিরিজপুর,ভূপতিচক,কালীদাসবাড় প্রভৃতি মৌজায় সিপিঅাইএম প্রতিনিধি দল দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস, মানিক গারু,তরুণ মাইতি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুর ও বামুনিয়া অঞ্চলের বসতবাড়ী, বিদ্যুৎ, গাছপালা, পানবরোজ, কলা ও ফলবাগান সহ সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে। সরকারী প্রশাসনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কোন হেলদোল নেই। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের যা কিছু তৎপরতা দুই ২৪ পরগণা ও কোলকাতা কে নিয়ে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিয়ে প্রশাসনের কোন সক্রিয়তা নেই বললেই চলে।সরকারী ভাবে ত্রিপল,খাদ্য সামগ্রী, নগদ অর্থের সাহায্য খুবই নগন্য। দেশপ্রাণ, খেজুরী -১ ও২,,নন্দীগ্রাম-১, সুতাহাটা,হলদিয়া প্রভৃতি এলাকায় অামফান দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রাজ্য সরকারের বৈমাত্রেয় সূলভ মনোভাবের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষ কে গর্জে ওঠার অাহ্বান জানান মামুদ হোসেন। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন রাজ্যের মুখ্য সচিব কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে প্রতিকারের দাবী জানিয়েছেন।