বর্ধমানের খাসকথা পত্রিকার সম্পাদক মাধব ঘোষ দিলেন খাদ্যত্রান দুস্থ স্বপন দত্ত বাউলকে
সংবাদদাতা: – দীর্ঘ লক ডাউনে অনেকেরই মতো কোনো কাজ ,আয় উপায় নেই , হাতে পয়সা নেই পূর্ব বর্ধমানের স্বপন দত্ত বাউলের। পথে পথে বাউলগান গেয়ে বেড়ান, মানুষের সেবার জন্য সমাজ সচেতনের জন্য। তার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেন না। রুজি রোজগার বলতে কয়েকটি হাতে গোনা গান, তবলা, ছবি আঁকা শেখানোর টিউশনি তাও সব বন্ধ। দুস্থ বাউল শিল্পীর এই করুন অবস্থার খবর পেয়ে বড় কষ্ট পেলেন বর্ধমানের খাসকথা পত্রিকার সম্পাদক শ্রী মাধব ঘোষ । তিনি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মানীত স্বপন দত্ত বাউলকে স্বসম্মানে ডেকে তার হাতে তুলে দিলেন চাল , ডাল , আলু , পিঁয়াজ , তেল , সোয়াবিনবড়ি, মশলাপাতি প্রভৃতি খাদ্যদ্রব্য । খাসকথা পত্রিকার সম্পাদক বলেন স্বপন দত্ত দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিঃস্বার্থ বিনাপারিশ্রমিকে সাংবাদিকতা করে চলেছেন। আমাদের খাসকথা পত্রিকাতেও লেখালেখি করেন । এছাড়া তিনি তার উপার্জনের বেশির ভাগই অসহায় প্রতিবন্ধী মানুষকে দেন । এবং বিনাপারিশ্রমিকে সারা রাজ্যের জেলায় জেলায় ঘুড়ে না খেয়ে দেয়ে স্বপন বাউল সমাজ সচেতনের গান গেয়ে সমাজের সমস্যা মেটাতে চেষ্টা করেন ।। আজ এই লক ডাউন প্রিয়ডে তার বড়ই অভাব দেখে তার পাশে হয়ত বেশি কিছু সাহায্য না দিতে পারলেও যত টা আমার খাস কথা পত্রিকার পক্ষ থেকে সামর্থ আমি তাই নিয়ে এক দুস্থ বাউলের সংসারের সকলের মুখে একটু খাবার তুলে দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি । এবং খাসকথা পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত সকলেই স্বপন দত্ত বাউলের পাশে দাঁড়াতে পেরে তার সংসারের সকলের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমরা বড়ই আনন্দিত । এবং আমি খাসকথা পত্রিকার সম্পাদক বর্ধমানবাসীর কাছে অনুরোধ রাখব যে এই নিঃস্বার্থ সমাজ সচেতনের বাউলের পাশে তার লক ডাউনে অভাবের সময় যার যেমন সাধ্য খাদ্য দ্রব্য দিয়ে তার পাশে দাঁড়ান। এমন নিঃস্বার্থ বাউল কে সকলে মিলে তার পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বাউলকে বাঁচিয়ে রাখুন ।