জাতীয়

করোনা মোকাবিলায় আজ রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জারি হতে পারে নয়া গাইডলাইন?

নয়া দিল্লি: দেশে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ (Covid Graph)। দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০০ ছাড়িয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ, শুক্রবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মনসুখ মাণ্ডব্য (Dr. Mansukh Mandaviya)। মূলত, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি কী এবং সেটি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েই আলোচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি (Union Health Minister) নতুন কোনও গাইডলাইন দেয় কিনা, সেটাই দেখার!

সূত্রের খবর, এদিন প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মনসুখ মাণ্ডব্য। দেশের সামগ্রিক কোভিড পরিস্থিতি ও তার মোকাবিলায় কী করণীয়, তা নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবারই বৈঠেক বসেছিল কোভিড মোকাবিলায় বিশেষ কমিটি। ডা. বি কে পল, ডা. রাজিব বাহস, ডিজি, আইসিএমআর-এর বিশিষ্ট চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এছাড়া এদিনের‌ বৈঠকে ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জেনোমিক্স কোনসোর্টিয়াম-এর আধিকারিকরাও যোগ দিয়েছিলেন। এই বৈঠকের পর রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড মোকাবিলায় বিশেষ কোনও গাইডলাইন দিতে পারে বলে সূত্রের খবর।

এই খবরটিও পড়ুন

 ইন্দিরা গান্ধীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসা একে অ্যান্টনির ছেলে বিজেপিতে! ‘দুঃখিত’ নেতা বললেন…

 

 

যদিও সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ না করারই বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি জানিয়েছিলেন, দেশে করোনা আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার বাড়েনিয ফলে এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হওয়া জরুরি। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু, দিনে-দিনে যেভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা যথেষ্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবারই দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫,৩৩৫ জন। যা বুধবারের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। গত ছয় মাসের মধ্যে দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে এটাই ছিল সর্বোচ্চ আক্রান্ত। এছাড়া দৈনিক পজিটিভিট হার ৩.৩২ এবং সাপ্তাহিক পজিটিভিটি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৯ শতাংশ।

Related Articles

Back to top button