রাজ্য

কলকাতায় আসছেন কালিয়াগঞ্জে নির্যাতিতার পরিবার, আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি: শুভেন্দু

কলকাতা: কালিয়াগঞ্জে কিশোরীর রহস্যমৃত্যু (Kaliyaganj Minor Girl Death) নিয়ে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধী শিবির নাগাড়ে প্রশ্ন তুলে যাচ্ছে,রাজ্যে নারী ও শিশু সুরক্ষার ইস্যু নিয়ে। কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের ইস্যুতে এবার সরব হলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বললেন, ‘যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে সাজিয়ে গুছিয়ে আত্মহত্যা বা বিষ খাওয়ার গল্প বলুক না কেন। কালিয়াগঞ্জের ঘটনা শারীরিক নির্যাতন ও হত্যা বলেই আমরা দাবি করছি। পরিবারও বলছে শারীরিক নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনও নিশ্চিত ওই নাবালিকাকে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে।’

মৃত কিশোরীর পরিবারের পাশে বিজেপি শিবির সবসময় রয়েছে বলেও জানালেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, ওই বালিকার মা রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা জানিয়েছেন। তাঁকে বিভিন্নভাবে জেলাশাসক, পুলিশের ডিআইজি সরকারি দলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ ও অনুরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকালও পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আজ কালের মধ্যে শ্রাদ্ধ-শান্তি মিটিয়ে পরিবারের লোকেরা কলকাতায় আসবেন। আমি ও সুকান্তবাবু কথা বলে নিয়েছি, আমরা সম্পূর্ণ আইনি সাহায্য তাঁকে দেব। যাতে এই মামলায় সিবিআই তদন্ত হয়।’

 

 বাংলার বুকে লাগাতার মহড়া বায়ুসেনার, মাঠে আমেরিকাও, চাপ বাড়ছে চিনের উপর?

 

যদিও রাজ্যের শাসক শিবিরের দাবি, কালিয়াগঞ্জ ইস্যুতে ‘মিথ্যাচার’ করছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের উন্নাও, হাথরস, প্রয়াগরাজ… এগুলি তাঁরা দেখতে পান না। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা ও শিশুদের জন্য নিরাপদতম জায়গা। বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে, সব ব্যাপারে রাজনীতির সম্পর্ক থাকে না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তার আগেই মৃতদেহ নিয়ে শকুনের রাজনীতি করা বিজেপি ঝাপিয়ে পড়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য শুভেন্দুরা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়েও পাল্টা দিয়েছেন কুণাল। খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকারের গণসংগঠনে পরিণত হয়েছে। শুভেন্দু চাইছেন সিবিআই তদন্ত হোক। আর তিনি নিজেই নারদা মামলায় এফআইআর নেমড। সেই শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, সিবিআই চাই। এ তো ঘোড়ায় হাসবে, গাধায় হাসবে, খচ্চরে হাসবে।’

Related Articles

Back to top button