গ্রামের পাতায়

ধানখেতে উদ্ধার চাদরে মোড়ানো দেহ, বিস্ফোরণস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে

নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার কাঁথিতে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেগা সমাবেশ। আর তার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণ হয়েছে। সেই বিস্ফোরণে  তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই তিনজন রাজকুমার মান্না, লালু মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণটি হয়েছিল রাজকুমার মান্নার বাড়িতে, তিনি আবার এলাকার তৃণমূল বুথ সভাপতি।

রাজকুমারের স্ত্রী দাবি করেছেন, বিস্ফোরণের পর রাতের অন্ধকারে কারা যেন এসে তিনজনের শরীর বের করে নিয়ে গিয়েছিল। তবে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, হাসপাতালে নাকি অন্য কোথাও সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। আর এরই মধ্যে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনাস্থল থেকে এক-দেড় কিলোমিটার দূরে তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি, ওই তিনটি দেহ রাজকুমার, লালু ও বিশ্বজিতের কি না।

বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ওই এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে তিনটি দেহ পড়েছিল। মাদুর বা চাদর জাতীয় কিছু জিনিস দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ওই দেহগুলি পড়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কোথাও পুকুর পাড়ে, কোথাও আবার ধানের খেতে পড়েছিল দেহগুলি। স্থানীয় মানুষজন যখন ভোরবেলা হাঁটতে বেরিয়েছিলেন, তখন তাঁরা এই দেহগুলি পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল এলাকায়। চাঞ্চল্য ছড়াতেই ভূপতিনগর থানার পুলিশ ও র‌‌্যাফ গিয়ে এলাকা থেকে দেহগুলি উদ্ধার করে।

আর এখানেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদি ওই দেহগুলি সত্যিই রাজকুমার, লালু ও বিশ্বজিতের হয়ে থাকে, তাহলে কারা সেখানে ওই দেহগুলি বাড়িতে ঢুকে তুলে নিয়ে গেল? তাহলে কি দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল? ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি ধানখেতে কীভাবে গিয়ে পড়ল দেহগুলি?  রেখে গেল?

ঘটনাটি ঘটেছিল গতরাতে, তারপরও পুলিশের কেন এতটা সময় লাগল দেহগুলি উদ্ধার করতে? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করে দিয়েছে। যদিও এখনও স্পষ্ট নয় উদ্ধার হওয়া ওই দেহগুলি ওই তিনজনের কি না।

Related Articles

Back to top button