পয়লা বৈশাখে অগ্নিকাণ্ড মদের দোকানে, ৭০ লক্ষ টাকার মদে ‘তৃষ্ণা মেটাল’ আগুন
বাঁকুড়া: পয়লা বৈশাখের সকালে মদের দোকানে (Fire at Liquor Shop) আগুন। শনিবার কাকভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) শহরের এক অভিজাত হোটেল চত্বরে। এদিন ভোর প্রায় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাঁকুড়ার লালবাজার এলাকার ওই হোটেলের ওয়াইন শপ থেকে আচমকাই প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে হোটেলের কর্মীদেরই। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনার খবর পেয়ে হোটেল চত্বরে পৌঁছে যায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। দমকল কর্মীদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু ততক্ষণে মদের দোকানের যা ক্ষতি হওয়ার, তা হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন ভোরের অগ্নিকাণ্ডে ওয়াইন শপের প্রায় সত্তর লাখ টাকার মদ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ভোরবেলা ওয়াইন শপ থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়েছিল দমকলে। ওই অভিজাত হোটেলের কর্মীরা দমকলের ইঞ্জিন আসার অপেক্ষা না করে নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েছিলেন। হোটেলের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র কাজে লাগিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকলের কর্মীরা। কিন্তু ওয়াইন শপের ভিতরে যে বিপুল পরিমাণে মদ মজুত ছিল, তার থেকে নিমেষের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রাথমিকভাবে দমকলকর্মীদের অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই অগ্নিকাণ্ড যদি ওয়াইন শপ খোলা থাকাকালীন হত, তাহলে আরও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
বিধায়কের বাড়ির পিছনের জঙ্গল থেকে ছয়-ছ’টি ব্যাগ উদ্ধার CBI-এর: সূত্র
হোটেলের মালিক জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে তিনি অনুমান করছেন প্রায় ৬০-৭০ লাখ টাকার মদ নষ্ট হয়েছে আগুনে। এই ক্ষতির পরিমাণ টাকার অঙ্কের হিসেবে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। তবে দমকলকর্মীরা যে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন, তার জন্য পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলেও জানাচ্ছেন তিনি।